প্রেমের ফাঁদে পেলে ভারতে পাচারকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের এক কিশোরীকে (১৫) উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ওই কিশোরীর প্রেমিক রনি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।
এ সময় পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন-মুন্সিগঞ্জের সদর থানার ভীটু হোগলা কান্দির মোক্তার হোসেনের ছেলে হাসান (১৮) ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার গোয়ালঘরের শাহজাহানের ছেলে শামিম ওরফে রাকিব (১৮)। তারা উভয়েই উদ্ধার হওয়া কিশোরীর প্রেমিক রনির সহযোগী।
মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া কিশোরীসহ আটক দুই পাচারকারীকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এর আগে, সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে গত ৭ আগস্ট রাতে কিশোরীর বাবা সোহেল বাদী হয়ে কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ৫৩৫।
উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, সে গত এক বছর ধরে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে আসছে। অপরদিকে রনি ছয় মাস আগে একই গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদান করে এবং সস্তাপুর এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে। চাকরির সুবাদে রনির সাথে পাঁচ মাস আগে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে রনির পরামর্শে গার্মেন্টস থেকে বেতন পেলে তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। রনি তখন কিশোরীকে জানায় তার বন্ধু হাসান তাকে গার্মেন্টসের সামনে থেকে নিয়ে যাবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট রাতে বেতন পেয়ে কিশোরী গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে হাসানের সাথে রিকশা করে রনির নিকট যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। এরপর রিকশা ছেড়ে সিএনজি নেয়। পথিমধ্যে তাদের সাথে যোগ দেয় শামিম ওরফে রাকিব নামে হাসানের পরিচিত এক সহযোগী। তারা তখন বাসে চড়ে চলে যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে তারা দুপুর দুইটার দিকে বিজিবির হাতে আটক হয়। আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত সে বুঝতে পারেনি তাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রেমিক রনি মানবপাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দিয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাছান জানান, মেয়েটিকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার কথিত প্রেমিক মূলহোতা রনিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন