8.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

বিমানবন্দরে ১৬ ঘণ্টার অপেক্ষা

বিমানবন্দরে ১৬ ঘণ্টার অপেক্ষা
টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর

টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে ১৬ ঘণ্টার বিলম্বে ছিলেন ক্যাথি গোমেজ। ব্যাগেজ পড়ে যেতে এবং টারমাকে তা পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি।

অন্টারিওর হ্যামিল্টনের বাসিন্দা ক্যাথি গোমেজ বিমানবন্দরে এসেছিলেন ভোর ৪টায় দুই বছরের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল শনিবার সকাল ৮টায় এয়ার কানাডার আাটলান্টাগামী ফ্লাইট ধরা। ‘কিন্তু এটা ছিল চরম বিশৃঙ্খলা’ বলছিলেন ক্যাথি গোমেজ।

- Advertisement -

ব্যাগেজ ফেলে দেওয়ার পর তিনি বলেন, প্রথমে তিনি একটি হোল্ডিং এরিয়ায় ছিলেন। কারণ, সারি এতোটাই দীর্ঘ ছিল যে তার নাগাল পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। যথেষ্ট আসন না থাকায় আমরা মেঝেতেই বসে ছিলাম। যখন তিনি তার পালার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখনই এয়ার কানাডা থেকে নোটিফিকেশন আসে, যেখানে লেখা ছিল ফ্লাইট বাতিল। ছয় ঘণ্টা পর আরেকটি ফ্লাইট বুক করেন তিনি। কিন্তু এটি যাবে নর্থ ক্যারোলাইনা হয়ে।

দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে গোমেজকে পিয়ারসন বিমানবন্দরে সাকল্যে ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। সড়ক পথে আটলান্টায় যেতে সময় লাগে যেখানে ১৪ ঘণ্টা।

গোমেজ যখন উড়োজাহাজে উঠছিলেন তখন অন্য লোকদের ব্যাগেজ কর্মীদের টারমাকে ফেলে যেতে দেখেন এবং সেগুলো আর তোলা হয় না। তিনি বলেন, জানালা দিয়ে আমরা দুটো ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। ব্যাগগুলো টারমাকে পড়ে ছিল।
ভ্রমণের এই অভিজ্ঞতার একটি ভিডিও গোমেজ টিকটকে পোস্ট করেছেন। একদিনেই ভিডিওটি ৪০ হাজারবার দেখা হয়েছে।

গোমজ বলেন, আমরা ব্যাগটাও আটলান্টায় পৌঁছায়নি এবং সেটি কোথায় আছে সে তথ্য আমি পাইনি। আটলান্টা থেকে মঙ্গলবারই তার অরল্যান্ডোতে যাওয়ার কথা এবং এই যাত্রায় ব্যাগ পাবেন কিনা তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন।
সিটিভি নিউজ টরন্টো এ ব্যাপারে জানতে টরন্টো পিয়ারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গোমেজ বলেন, এটা একটা দুঃস্বপ্ন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো ভ্রমণ নয়। সেবার জন্য আমরা অর্থ পরিশোধ করি। এটা বিনামূল্যের কিছু নয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles