5.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

স্ত্রী-দুই মেয়েকে খুন করে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

স্ত্রী-দুই মেয়েকে খুন করে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
ব্যবসায়ী ইসরারের স্ত্রী ফারহিন

ক্রমাগত লোকসান ও ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, নিজেকে শেষ করার আগে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন তিনি। আজ শনিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ ইসরার (৪০) নামের ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিয়ে রাজধানী দিল্লির জাফরাবাদে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। তার বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও একই ভবনে থাকেন।

- Advertisement -

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রী ফারহিন (৩৮), দুই মেয়ে ইয়াশফিকা (১১) ও ইনায়াকে (৯) গুলি করেন ইসরার। যদিও তার ৫ এবং ১৩ বছর বয়সী দুই ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ব্যবসায়ী ইসরারের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল জব্দ করেছে। এ ছাড়াও মোবাইলে রেকর্ড করা একটি ভিডিওর সন্ধান পেয়েছে। ভিডিওতে ব্যবসায়ী ইসরার ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং ক্ষতির বিষয়ে কথা বলেছেন।

ইসরারের এক আত্মীয় জানান, পরিবার নিয়ে কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন ইসরার। সেখানে তিনি ঘড়ি ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় লোকসান হলে তিনি দিল্লিতে ফিরে আসেন এবং জাফরাবাদে জিন্সের ব্যবসা শুরু করেন। গত এক বছর ধরে এই ব্যবসায়েও লোকসান চলছিল। এ কারণে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন ইসরার।

তার পরিবারের আরেক সদস্য জানান, ইসরার-ফারহিন দম্পতির ছেলে রেহান ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার ঘরে যায়। এ সময় সে তার বাবা-মাকে বিছানায় ও বোনদের রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাতে ছেলেরা ঘুমিয়ে পড়েছিল। এরপর স্ত্রী ও মেয়েদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন ইসরার। একপর্যায়ে তারাও ঘুমিয়ে পড়লে ইসরার তাদের গুলি করে হত্যা করে। অবশ্য পরিবারের বাকি সদস্যরা কোনো গুলির শব্দ শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ধারণা করছে, ঘটনাটি ভোরের দিকে ঘটে থাকতে পারে।

দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-পূর্ব) সঞ্জয় সায়ন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জব্দ করা অস্ত্রের উৎস নিয়ে তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles