9.9 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

সালমান খানের নায়িকা নিয়ে অনন্ত জলিল ও অনন্য মামুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব!

সালমান খানের নায়িকা নিয়ে অনন্ত জলিল ও অনন্য মামুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব!
ছবি সংগৃহীত

সালমান খানের নায়িকা নিয়ে অনন্ত জলিল ও অনন্য মামুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব!
চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিলের সঙ্গে নির্মাতা অনন্য মামুনের মধ্যকার ঝামেলা বহুদিনের। সেই ঝামেলা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অনন্ত জলিলের ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমা নিয়ে সমালোচনা করেন অনন্য মামুন।

- Advertisement -

এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে অনন্য মামুনকে ধুয়ে দেন অনন্ত জলিল। অনন্য মামুনকে সামনে পেলে কান ধরিয়ে উঠবস করাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিষয়টি সিনেপাড়ায় উত্তাপ বইছে।

কি নিয়ে ঢাকাই ছবিসংশ্লিষ্ট এ দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে সেই ২০১২ সাল থেকে।

জানা গেছে, বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করা নায়িকা স্নেহা উলালকে ঘিরে দ্বন্দ্ব ঘটে অনন্ত-মামুনের।

২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাকি’ সিনেমায় সালমান খানের নায়িকা ছিলেন স্নেহা। এ নায়িকা দেখতে অনেকটা বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়ার রাইয়ের মতো। সে সময় বলা হয়, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ-ব্যথা ভুলতে ঠিক তার মতো দেখতে স্নেহাকে খুঁজে বের করেছিলেন সালমান খান।

ঐশ্বরিয়ার মতো দেখতে বলে সে সময় বেশ আলোচনায় আসেন স্নেহা। আর সেই স্নেহাকে পরে দেখা যায় অনন্ত জলিলের ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ সিনেমায়র টাইটেল গানে পারফর্ম করতে।

এই সিনেমায় স্নেহা উলালকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েই নাকি অনন্ত জলিলের সঙ্গে অনন্য মামুনের ঝামেলা তৈরি হয়। এমনটাই দাবি করেছেন অনন্য মামুন।

এ বিষয়ে ফেসবুকে অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞতা জানাই অনন্ত ভাইকে আমাকে তার সিনেমায় প্রথম পরিচালক হিসেবে সুযোগ দেওয়ার জন্য। শুটিংয়ে আমার সাথে প্রথম ঝামেলা শুরু হয় মুম্বাইয়ের হিরোইন স্নেহা উলালকে নেওয়ার পর থেকে। অনন্ত ভাইয়ের সাথে বর্ষা ম্যাডামের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। অনন্ত ভাই বাইরের হিরোইনকে নিয়ে কাজ করবেন, বর্ষা করতে দেবেন না। ফাইনালি তাদের সম্পর্ক ঠিক হলো, আমি ভিলেন হয়ে গেলাম। ’

এদিকে ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমা নিয়ে অনন্য মামুনের নেতিবাচক মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অনন্ত জলিল।

শুক্রবার এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘অনন্য মামুনকে আমি ডিরেক্টর বানিয়েছি। আমার টাকায় ওর ডিরেক্টর ফি (পরিচালক সমিতির সদস্য পদ) পর্যন্ত দিয়েছি, এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। সমালোচনা যদি আমার সামনে কোনো দিন করে আর আমার চোখে পড়ে ওকে (অনন্য মামুন) তো আমি কান ধরে উঠাব-বসাব। ওর এত বড় সাহস কোথা থেকে হলো! ওর কী যোগ্যতা আছে অনন্ত জলিলের সমালোচনা করার মতো। ’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles