14.5 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

উচ্চ সুদহার মোকাবেলার সক্ষমতা অর্থনীতির রয়েছে

উচ্চ সুদহার মোকাবেলার সক্ষমতা অর্থনীতির রয়েছে
ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম

গত বছর সবচেয়ে খারাপ দিক ছিল উচ্চমাত্রার ঋণ ও বাড়ির অস্বাভাবিক বেশি দাম। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদের হার বৃদ্ধির ধাক্কা অর্থনীতি এখনও সামলে নিতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থা পর্যালোচনা নিয়ে অটোয়াতে গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উচ্চ সুদ হার অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। একইসঙ্গে আমরা এও মনে করি যে, অর্থনীতি তা সামলে নিতে পারবে।

- Advertisement -

কানাডার পরিবারগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ম্যাকক্লেম। কারণ, মহামারির মধ্যে পরিবারগুলোর সম্পদ বেড়েছে গড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচ্চ সুদের হার আবাসন বাজারের দামে কি প্রভাব ফেলে সেদিকেই বেশি নজর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
ম্যাকক্লেম বলেন, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের মধ্যে নিয়ে আসা। আপনারা জানেন যে, মুদ্রানীতি আবাসন নীতি নয়। বাড়ির যে মূল্যবৃদ্ধি আমরা দেখেছি তা অটেকসই বৃদ্ধি এবং আবাসন বাজারের কার্যক্রম কিছুটা স্বাভাবিকতায় ফিরবে বলে আমরা আশা করছি, সত্যি কথা বললে যা স্বাস্থ্যকরই হবে। আবাসন বাজার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠন নজর রেখে চলেছে। ব্যাংকের এখন প্রয়োজন অর্থনীতিতে চাহিদাকে শ্লথ করে দেওয়া এবং একে সরবরাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।

ম্যাকক্লেম বৃহস্পতিবারও বলেন, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যের মধ্যে আনতে নীতি নির্ধারণী সুদের হার তিন শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হতে পারে। মূল্যস্ফীতি যাতে স্থায়ী না হয় সেজন্য ব্যাংককে দ্রুত আরও বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতে পারে।

ব্যাংক অব কানাডা গত সপ্তাহে সুদের হার অর্ধ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করে। এর ফলে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রাইম সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে।

সুদের হার বৃদ্ধি আবাসন বাজারে মূল্য সংশোধনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ইকুইটির ক্ষয় হবে এবং পরিবারগুলো সে ধাক্কা সামলে উঠার সামর্থ্যকেও কমিয়ে দেবে। বাড়ির সাম্প্রতিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য আংশিকভাবে দায়ি বিনিয়োগকারীদের ক্রয় বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে মূল্য আরও বাড়বে এই ধারণা পোষণ করা। মহামারির সময় গত দুই বছরে বাড়ির দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles