9.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

স্বপ্নের পদ্মা সেতু
ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু সত্যিই বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন। আর এই অর্জনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ বাংলাদেশের সম্মানকে অনেক উপরে তুলে দিয়েছে তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবিসহ বিদেশী ঋণ নিয়ে যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়, সেগুলো কি কি কন্ডিশনে দেয়া হয় এবং তার ইমপ্যাক্ট কি হয় সেগুলো আমরা অনার্সের ছাত্র থাকাকালীন ক্লাসে স্যারদের কাছ থেকে এবং বই থেকে জেনেছি, শিখেছি।

সেইসব কথা আজ বলছি না। বিদেশী শর্তকে উপেক্ষা করে, চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে, বৈদেশিক ঋণে চালু করা অন্য অনেক প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থাকা সত্তেও পদ্মা ব্রীজ নিজস্ব অর্থায়নে করার সাহস দেখানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। এখানেই শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। দশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ত্রিশ হাজার কোটিতে কেন হলো, কোন রকম দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে এখানে কথা বলছি না। সেটা ভিন্ন প্রসংগ। আমি বলছি প্রয়োজনীয়তার কথা এবং দৃঢ়তার কথা। সাহসের কথা এবং এগিয়ে যাবার কথা। সেই সাহসটি দেখিয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

- Advertisement -

তিনি যে সাহসটি দেখিয়েছেন প্রথম পদ্মা ব্রীজ করে, আশা করি তিনি একই সাহস দেখাবেন ২য় পদ্মা ব্রীজটি গড়ে দিয়ে। মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে দেশের প্রথম পদ্মা ব্রীজ হয়েছে, আশা করি খুব শীঘ্রই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পয়েন্টে দেশের ২য় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে।

আরো আশা করি ত্রিশ হাজার কোটি টাকার এই ব্রীজ দিয়ে যারা গাড়ী চালাবেন তারা হবেন জেনুইন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ড্রাইভার। আমি আশা করবো এই ব্রীজ দিয়ে ড্রাইভারের পরিবর্তে কোন হেলপার গাড়ী চালাবে না। আমি আশা করবো, এই ব্রীজ দিয়ে যে সব গাড়ী চলবে সেসব গাড়ীর বৈধ ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকবে, থাকবে ভ্যালিড ইনসুরেন্স যাতে কোন কারণে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্হ ব্যক্তি বা পরিবার বিনাবাক্যে দ্রুততম সময়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। আমি আশা করবো এই ব্রীজ দিয়ে যারা গাড়ী চালাবেন তারা কোনভাবেই অবৈধ ওভারটেকিং করবেন না, বেপরোয়া গাড়ী চালাবেন না। আমি আশা করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করতে যে দৃঢ় প্রত্যয়ের পরিচয় দিয়েছেন, দেশ ও দেশের মানুষকে এক অনন্য উচ্চতায় বিশ্ববাসীর সামনে তুলে এনেছেন, সেই একই দৃঢ় প্রত্যয়ের পরিচয়ের মাধ্যমে তিনি এবার গোটা দেশে একটা ড্রাইভারশুমারী করবেন। কত লক্ষ মানুষ দেশে গাড়ী চালায় তার একটা শুমারী করবেন। সেই শুমারীতে বের করে আনবেন যে তাদের শতকরা কতজনের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে আর কতজনের নেই।

যাদের নেই তাদেরকে একবছরের মধ্যে বাধ্যতামুলক প্রশিক্ষণের আওতায় এনে ঘটা করে তাদের হাতে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দিবেন। আমি আশা করবো, খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে ঘোষণা দিবেন যে আমরা শুধু উন্নত রাস্তা ঘাট আর সেতুই করিনি, আমাদের দেশে একজন ড্রাইভারও ভুঁয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ী চালায় না। কারণ আমরা মানুষের জীবনকে, জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই। আর মাত্র ৮ দিন পরেই দেশের ১৮ কোটি মানুষের গৌরবের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমি এই সুযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ব্রীজ তৈরীতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি অভিনন্দন জানাই যাদের টাকায় এই ব্রীজ নির্মিত হয়েছে, যাদের ঘামে এই কষ্টসাধ্য কাজটি সুসম্পন্ন হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে।

 

 

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles