11.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

আরও ৩ দেশে ছড়াল মাঙ্কিপক্স

আরও ৩ দেশে ছড়াল মাঙ্কিপক্স - the Bengali Times
আরও ৩ দেশে ছড়াল মাঙ্কিপক্স

নতুন করে আরও তিন দেশে ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। নতুন এ তিন দেশ হচ্ছে, ইসরাইল, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া। এ নিয়ে বিশ্বের ১৫টি দেশে ছড়াল রোগটি। ইসরাইল ও সুইজারল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের দেশে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা সম্প্রতি বিদেশ সফর করে এসেছে। ইসরাইল সন্দেহভাজন আরও কয়েকজন রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।

মহামারি করোনার মধ্যেই নতুন আতঙ্ক হয়ে এবার সামনে এসেছে মাঙ্কিপক্স। বিরল এ রোগটি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে। প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে। এরপর ইউরোপের স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেনেও এই রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় ৮০ জনের বেশি লোকের মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ধরা পড়ে।

- Advertisement -

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আফ্রিকার পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হাজারো রোগী শনাক্ত হলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোয় এত দিন রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত শনিবার সতর্ক করে বলে, মাঙ্কিপক্স আরও ছড়াতে পারে।

মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিজ্ঞানীদের কাছে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। তবে তারা বলছেন, এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ানোর ও ব্যাপকভাবে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলছে, মাঙ্কিপক্স থেকে সৃষ্ট অসুস্থতা মৃদু। রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকার কথা এখনো বলেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে বিবিসি বলছে, কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে গুটিবসন্তের টিকা সংরক্ষণ করতে শুরু করেছে। গুটিবসন্তের সঙ্গে মাঙ্কিপক্সের মিল রয়েছে বলে এই টিকা ৮৫ শতাংশ কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্স খুব একটা গুরুতর নয়। সংক্রমণের সক্ষমতাও তুলনামূলক কম। রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেশীতে ব্যথা ও অবসাদ। পরে মুখ ও শরীরে চিকেনপক্সের মতো র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। তবে, এ রোগ নিজে থেকেই কেটে যায়। ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে সেরে ওঠেন রোগীরা।

ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসিএলএ’র মহামারিবিদ্যার অধ্যাপক অ্যান্নে রিমোইন বলেন, ১৯৮০ সালে গুটিবসন্ত নির্মূল করা হয়েছে। এরপর থেকে রোগটির টিকা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু গুটিবসন্তের টিকা দিয়ে মাঙ্কিপক্স থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। গুটিবসন্তের টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মাংকিপক্সের সংক্রমণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রোগটি কেন ছড়িয়েছে তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ভাইরাসটিতে পরিবর্তন কিংবা রূপান্তর ঘটতে পারে। এমন কিছু ঘটলে তাও নির্ধারণ করতে হবে। লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হোয়াইটওয়ার্থ বলেন, করোনার মতো মাঙ্কিপক্স মহাকারি আকারে দেশজুড়ে ছড়াবে না। কিন্তু এটি একটি মারাত্মক রোগ। আমাদের এটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles