1.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

নারীদের বয়স কমানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার!

নারীদের বয়স কমানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার! - the Bengali Times
সম্প্রতি ৫৩ বছর বয়সি এক নারীর দেহের চামড়ার কোষগুলোকে ২৩ বছরের তরুণীর মতো পুনরুজ্জীবিত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক

বয়স কেউই বাড়াতে চান না। তারুণ্য ধরে রাখতে চান সবাই। হোক সে পুরুষ কিংবা নারী। সবাই বয়স কমাতে বা লুকাতে চায়। বিশেষ করে নারীরা এক্ষেত্রে একটু বেশিই এগিয়ে। সাধারণত তারা কোনোভাবেই নিজের বয়সের কথা বলতে চান না। তাদের জন্য এবার সুখবর দিল ক্যামব্রিজের একদল গবেষক।

সম্প্রতি ৫৩ বছর বয়সি এক নারীর দেহের চামড়ার কোষগুলোকে ২৩ বছরের তরুণীর মতো পুনরুজ্জীবিত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

- Advertisement -

গবেষকদের বিশ্বাস, শরীরের বদলে যাওয়া অন্যান্য টিস্যুগুলোও তারা একইভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন। বয়স সম্পর্কিত রোগ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্নায়ুবিক ব্যাধিগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোই হচ্ছে তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। ২৫ বছর আগে চামড়ার কোষ পুনরুজ্জীবনে ডলি ক্লোন করা ভেড়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রযুক্তি বা কৌশল।

এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান ক্যামব্রিজের বাব্রাহাম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক উলফ রেইক বৃহস্পতিবার বিবিসিকে জানান, তিনি আশা করেছিলেন যে এই কৌশলটি শেষ পর্যন্ত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য দীর্ঘকাল ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই ধরনের জিনিস সম্পর্কে স্বপ্ন দেখেছি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সাধারণ রোগ আরও খারাপের দিকে যায় এবং এক্ষেত্রে মানুষকে সাহায্য করার কথা চিন্তা করা অত্যন্ত আনন্দদায়ক।’

কোষের পুনরুজ্জীবনের কৌশলটির উৎপত্তি ১৯৯০-এর দশকে। ওই সময় এডিনবার্গের রোজলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা একটি ভেড়া থেকে নেওয়া গ্রন্থি কোষকে ভ্রূণে পরিণত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডলি ক্লোন ভেড়া তৈরি হয়েছিল। ভেড়া বা প্রকৃতপক্ষে মানুষের ক্লোন তৈরি করা রোজলিনের গবেষক দলের লক্ষ্য ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল মানব ভ্রূণের স্টেম সেল তৈরি করার কৌশলটি ব্যবহার করা।

এর মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা ছিল, তারা শরীরের রুগ্ন বা বয়সের ভাঁজ পড়া অংশগুলোকে প্রতিস্থাপন করার জন্য পেশি, তরুণাস্থি এবং স্নায়ু কোষের মতো নির্দিষ্ট কোষ জন্মানো। ২০০৬ সালে ডলি কৌশলটি আরও সহজ করেন তৎকালীন কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিনিয়া ইয়ামানাকা।

আইপিএস নামে পরিচিত নতুন পদ্ধতিটিতে প্রায় ৫০ দিনের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কোষগুলোতে রাসায়নিক যুক্ত করা হতো। এর ফলে যে জিনগত পরিবর্তন হয় তাতে প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে স্টেম কোষে পরিণত করা হয়।

ক্যামব্রিজের বাব্রাহাম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রেইকের দল ৫৩ বছর বয়সি ত্বকের কোষগুলোতে আইপিএস কৌশল ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা রাসায়নিক স্নান বা সংশ্লেষের মেয়াদ ৫০ দিন থেকে প্রায় ১২ দিনে নামিয়ে নিয়ে আসেন। গবেষকরা অবাক হয়ে দেখেন যে ত্বকের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং এগুলো দেখতে ২৩ বছরের তরুণের মতো।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles