মহামারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত অনাবশ্যক ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে স্থল ও আকাশপথে যাত্রী চলাচল নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এ বিধিনিষেধের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কানাডার পর্যটন খাতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এক হিসাব বলছে, বিধিনিষেধের ফলে গত বছর এ খাত ১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার রাজস্ব হারিয়েছে।
এ ক্ষতির কথা চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে ট্রুডো সরকার। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পুনরায় খোলার পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পুরোপুরি টিকা নেওয়া মানুষ কীভাবে এই দুই দেশের মধ্যে আরও সহজে ভ্রমণ করতে পারে সে সম্পর্কে শুক্রবারেই একটি ঘোষণা আসতে পারে। সীমান্তের মেয়াদ ২১ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই সকলের দৃষ্টি এখন নতুন ঘোষণায় কি আসছে সেই দিকে তাকিয়ে।
এদিকে, পর্যটন ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো ভ্যাকসিনের হারের ভিত্তিতে স্থল সীমান্ত পেরিয়ে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে সীমাবদ্ধ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার যৌথ উদ্যোগে পুনর্বিবেচনার আহ্বানের সাথে মঙ্গলবার কানাডাকে একটি আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। তবে কাউকে কীভাবে টিকা দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করার বিষয়টি কানাডার প্রিমিয়ারদের কাছে একটি স্টিকিং পয়েন্ট বলে মনে হচ্ছে। ট্রুডো বলেছেন, সীমানা পুনরায় খোলার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তিনি পাশে থাকতে চান।