14.9 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা জানাল আ.লীগ

নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা জানাল আ.লীগ - the Bengali Times

নতুন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে বলেও প্রত্যাশা দলটির।

- Advertisement -

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন- মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা নতুন ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলই যেন নির্বাচন কমিশনকে অহেতুক বিতর্কিত করার চেষ্টা না করে, সেই প্রত্যাশার কথাও জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। আমি যতটুকু জানি, তারা প্রত্যেকেই তাদের কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। এটা খুব সহজ কাজ নয়। সারা বিশ্বেই এটা চ্যালেঞ্জের কাজ। তবে আমরা আশা করি, নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হবে। দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেবে। ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে- এটাই জনগণের প্রত্যাশা। একই সঙ্গে তাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে, দেশবাসী যাতে তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে।

একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন যে জটিলতা ছিল, তার অবসান ঘটেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে হলেও আইন হয়েছে। সেই আইনের মাধ্যমে গঠিত সার্চ কমিটি সব রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নাম সংগ্রহ করেছে। সেই নাম যাচাই-বাছাই করে ১০ সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে যোগ্য ৫ ব্যক্তিকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হিসাবে মনোনীত করেছেন।

একই বিষয়ে দলটির আরেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। তাদের সবাইকে আমি অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রদ্ধতিকে শক্তিশালী করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন, তারা অবশ্যই দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।

সূত্র : যুগান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles