5.8 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

শ্রীদেবীর সাথে বাবার প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন

শ্রীদেবীর সাথে বাবার প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন - the Bengali Times
<br >অর্জুন কাপুর

এবার বাবা বনি কাপুর ও বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর সাথে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর।

বনি কাপুর এবং মোনার যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, ছেলে অর্জুন কাপুর তখন স্কুলে পড়েন। তারপরেই শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বলিউড প্রযোজক বনি। সেই সময়ে অর্জুনের স্কুলের বন্ধুরা তাকে তার ‘নতুন মা’ সম্পর্কে প্রশ্ন করত। উত্তর দিতে পারতেন না ছোট্ট অর্জুন।

- Advertisement -

এক সাক্ষাৎকারে অর্জনু জানান, যে সময়ে বাবার দ্বিতীয় বিয়ে দেখতে হয়েছে তাকে, তখন তার বাবা একজন বিখ্যাত মানুষ। সমাজে তার নাম ডাক রয়েছে। আর শ্রীদেবী তখনকার দিনে অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তাই তাদের বিয়ে নিয়ে চারদিকে কথা হত। ফলে, অর্জুনের ছোটবেলায় এই ঘটনার গভীর ছাপ পড়েছিল। মাকে ছেড়ে তার বাবা অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন, এই ঘটনাটি ছোটবেলা থেকেই মেনে নিতে পারেননি অর্জুন। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি বড় হয়েছেন। নিজেও প্রেমে পড়েছেন। আরবাজ খানের সাবেক স্ত্রী মালাইকা অরোরার সঙ্গে প্রেম করেন বলে বিভিন্ন কথা শুনতে হয় তাকে। এখন বাবার মন বুঝতে পারেন অর্জুন। নিজেই গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে সে কথা জানান তিনি।

অর্জুন এখন বোঝেন, কোনও একজন মানুষের প্রতি সারাজীবন প্রেম থাকবে, তার মানে নেই। প্রেম কমে যেতে পারে। আবার অন্য কারও প্রতি ভাললাগা তৈরি হতে পারে। সারাজীবন একজনের প্রতি নিষ্ঠাবান, এই ধারণাকে অর্জুন ‘বলিউডি ধ্যানধারণা’ আখ্যা দেন। এও জানান, এটি বাস্তবে সব সময়ে সম্ভব নয়।

তার কথায়, “আমি এ কথা বলব না যে আমার বাবা আমার মা-কে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েছেন বলে আমার অসুবিধা হয়নি। অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু বড় হওয়ার পরে অন্যভাবে দেখা শুরু করেছি আমি। নিজের প্রেমের সম্পর্কে ওঠাপড়া হওয়ার পর বুঝতে শিখেছি।”

অর্জুন জানান, তার মা মোনা জীবিত থাকলে, তিনিও অর্জুনকে তার বাবার পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিতেন। মায়ের লালন পালনের কথা মাথায় রেখে তিনি বনি এবং সৎ বোন জাহ্নবী কাপুর এবং খুশি কাপুরের সঙ্গে পরিবারের মতো করেই মেলামেশা করেন এখন।

তিনি জানান, বনির দ্বিতীয় প্রেমে পড়াকে তিনি সম্মান করেন। “প্রেম তো আসলে জটিল। ২০২১ সালে বসেও যদি আমরা বলি, একবারই প্রেমে পড়া যায়, তাহলে সেটা নির্বুদ্ধিতা,” বলেন অর্জুন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles