1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

‘অপহৃত’ এক কিশোরীকে খুঁজতে গিয়ে উদ্ধার ৩ কিশোরী

 

‘অপহৃত’ এক কিশোরীকে খুঁজতে গিয়ে উদ্ধার ৩ কিশোরী - the Bengali Times
গ্রেপ্তার তিন আসামি

রাজধানীর দনিয়া এ কে স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছিল গত রোববার। বাড়িওয়ালা বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন, গৃহকর্মী তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পুলিশও ঘটনার গুরুত্বে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে কিশোরীকে। অবস্থান শনাক্তে চলতে থাকে অভিযান। শেষ পর্যন্ত ঘটনার পর দিনই শরীয়তপুরের পালং এলাকা থেকে উদ্ধার হয় সেই ছাত্রী। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে একই জায়গায় মেলে ‘অপহৃত’ আরও দুই কিশোরীর সন্ধান!

- Advertisement -

পুলিশ জানতে পারে, কদমতলীর দনিয়া এলাকা থেকে তিন কিশোরী একই দিন অপহৃত হয়েছিল। তাদের একজন ছাত্রীর বাবা পুলিশকে অবহিত করলেও অপর দুইজনের স্বজন লোকলজ্জায় কাউকেই কিছু বলেননি। বয়স কম হওয়ায় কাগজপত্রে তারা অপহৃত হলেও মূলত প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিল তিনজনই।

তিন কিশোরীর অভিভাবকরা পৃথক তিনটি মামলা করেন। এসব মামলার আসামি শান্ত ইসলাম ইমন (১৯), মো. ইব্রাহীম (১৯) ও মো. সাব্বিরকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন জানান, এক ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়েছে অভিযোগ পেয়ে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেন। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে থাকেন। প্রযুক্তিগত তদন্তে অবস্থান শনাক্ত করে দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায়, ওই ছাত্রীসহ আরও দুই কিশোরী একই বাসায় অবস্থান করছে এবং তারা একই ঘটনার শিকার।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার ইমন, ইব্রাহীম ও সাব্বির পেশায় অটোরিকশাচালক। তিনজনই মাদকাসক্ত। প্রেমের ফাঁদ আর বিয়ের প্রলোভনে এরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক তিন কিশোরীকে অপহরণ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, ছাত্রীর বাবা যে গৃহকর্মীর বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন, সেই গৃহকর্মীও কিশোরী। মূলত সে তার বাসাতেই ভাড়া থাকে এবং খন্ডকালীন কাজ করে। ওই দুইজন একসঙ্গে বাসা ছাড়ে। অপর কিশোরীও তাদের পূর্ব পরিচিত। তারা তিনজন মিলেই বাসা ছেড়েছিল। অভিযুক্ত গৃহকর্মীও ঘটনার শিকার।

তিনি আরও জানান, তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাদের বাবা-মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন।

অপহরণের শিকার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে দনিয়া বাজার এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করে। কাজে যাওয়ার সময়ে বখাটে ইব্রাহীম মেয়েকে উত্যক্ত করতো। জোর করে বিয়ে করতে চাইতো। নইলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলতো। দরিদ্র হওয়ার কারণে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়নি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles