0.6 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ডা. মুরাদ হাসান এখন কোথায়?

ডা. মুরাদ হাসান এখন কোথায়? - the Bengali Times
ফাইল ছবি

বিতর্কিত রাজনীতিক সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশে ফিরেছিলেন গত ১২ ডিসেম্বর। বিতর্কিত মন্তব্য ও নারীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়ে দেশত্যাগ করে কানাডা গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশটিতে ঢুকতে না পেরে দুবাই চেষ্টা করেন। সেখানেও ব্যর্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

দেশে ফেরার পর ডা. মুরাদ এখন কোথায় আছেন, সেই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তিনি এখন কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
অনেকের ধারণা, ডা. মুরাদ আত্মগোপনে রয়েছেন। সেখান থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তার বিরুদ্ধে দেশের জেলায় জেলায় মামলা হচ্ছে, অনেক জেলায় মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। ঢাকায়ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এসব কারণে হয়ত তিনি নিকেজে আপাতত আড়াল করে রেখেছেন।

- Advertisement -

সেদিন (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। মুরাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫৮৬ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন।

বিমানবন্দরে নামার পর সাংবাদিকদের এড়াতে মুরাদ হাসান আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ব্যবহার না করে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে বের হন। তিনি সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

মুরাদ হাসান ভিআইপি গেটের সামনে এলেও সাংবাদিকদের দেখে আবার ভেতরে চলে যান। পরে বিমানবন্দরের ভেতর দিয়ে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যান। সেখানে তার জন্য হোন্ডা সিআরভি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি রাখা ছিল। মাথা ও মুখ ঢেকে সেই গাড়িতে চড়ে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে একটি প্রাইভেটকারে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ডা. মুরাদ কোথায় গেছেন- তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজধানীর ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ৩০/এ ভবনে সপরিবারে থাকতেন মুরাদ হাসান। ভবনটির চার তলায় তার বাসা, আর দ্বিতীয় তলায় অফিস।মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানোর আগে তার বাসায় নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল, কিন্তু এখন সুনসান নীরবতা।মুরাদ দেশত্যাগের পর পরিবারের সদস্যরা ওই বাসায়ই ছিলেন বলে জানা গেছে। তার ব্যবহৃত গাড়িটিও বাসার গ্যারেজে দেখা গেছে।

সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে অপরিচিত একজনের গাড়িতে করে চলে যান ডা. মুরাদ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, তিনি তার ধানমণ্ডির নিজের বাসায় যাবেন। তবে তিনি সেখানে যাননি। পরে শোনা যায় তিনি তার এক ভাইয়ের বাসায় উত্তরায় আছেন। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকটা আত্মগোপনেই রয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে ডা. মুরাদের অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এই সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করলে ওইদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একইদিনে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানকে তার নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।এ ছাড়া মুরাদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলের বিষয়েও দলের পরবর্তী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলেও তাকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।সেখান থেকে তাকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়।কিন্তু দুবাইও তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

এদিকে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে পাঁচ জেলায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে মামলা খারিজ ও পঞ্চগড়ে মামলা নিয়েছেন আদালত।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles