-0.4 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫

‘মা কোথাও যেতে দিত না, তাই মেরে ফেলি’

‘মা কোথাও যেতে দিত না, তাই মেরে ফেলি’ - the Bengali Times
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাসিমা আক্তার নামের এক নারী হত্যার ঘটনায় তার ছেলে সিয়াম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপার আদালতে জবানবন্দি দেয় সে।

জবানবন্দিতে সিয়াম বলে, ‘মা আমাকে অনেক আদর করত, কোথাও যেতে দিত না। এই জেদ থেকে তাকে মেরে ফেলি।

- Advertisement -

ঘরে আমি আর মা ছিলাম।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সিয়াম জানায়, তার মা ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় সে ছেহাইট (এক প্রকার কাঠের দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মা না মরলে বঁটি-দা দিয়ে কোপ দেয় সে।

ঘটনার পর সিয়াম তার মায়ের পাশে বসে বিলাপ করতে থাকে। জমি নিয়ে বিরোধে স্বজনরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করতে থাকে সে। এক পর্যায়ে সাত বছরের ভাগিনা ফারুক জানিয়ে দেয়, মামা তার নানিকে হত্যা করেছে।

শুক্রবার ভোরে শয়নকক্ষের বিছানাতে নাসিমার রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল।

প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশ সিয়ামকে আটক করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। তার লাশের ময়নাতদন্ত জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় মিজান মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান।

ফিরে এসে দেখেন, বিছানায় নাসিমার লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পরে জানা যায়, সিয়াম তার মাকে হত্যা করে। সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে সে মাকে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে সিয়াম। পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles