-0.4 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫

বিবাহবার্ষিকীতে পার্টি, বাড়ি ফাঁকা হতেই বিয়ের পোশাকে একসঙ্গে আত্মহত্যা!

বিবাহবার্ষিকীতে পার্টি, বাড়ি ফাঁকা হতেই বিয়ের পোশাকে একসঙ্গে আত্মহত্যা! - the Bengali Times
সেই দম্পতি

২৬তম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন দম্পতি। গভীর রাত পর্যন্ত অতিথিদের নিয়ে বাড়িতে চলেছে পার্টি। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফাঁকা হওয়ার পরেই একসঙ্গে গলায় দড়ি দিলেন দম্পতি। তারা বিয়ের সময় যে পোশাক পরেছিলেন মৃত্যুর সময়ও সেই পরে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে নাগপুরের মার্টিননগর কলোনিতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মার্টিননগর কলোনিতে থাকতেন ৫৭ বছরের জেরিল ড্যামসন অস্কার মনক্রিফ এবং তার স্ত্রী ৪৬ বছরের অ্যান। মঙ্গলবার সকালে নিজেদের ফ্ল্যাট থেকেই তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবারই ছিল তাদের ২৬তম বিবাহবার্ষিকী।

- Advertisement -

সেই উপলক্ষে আগের দিন রাতে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন দম্পতি। রাত ১২টায় বিবাহবার্ষিকীর কেকও কাটেন। কেন তারা সেই রাতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সুইসাইড নোটে এই সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরিল পেশায় রন্ধনশিল্পী। একাধিক নামী হোটেলে রান্নার কাজও করেছেন। লকডাউনের পর থেকে এই কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। তার পর পরিচিতদের কাছে সুদে টাকা ধার দিতেন। অ্যান বাড়িতেই থাকতেন। পার্টি শেষ হলে ভোররাতে সামাজিকমাধ্যমে দুজন পৃথক সুইসাইড নোট পোস্ট করেন।

ওই দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তাদের সম্পত্তি পরিচিতদের মধ্যে সমান ভাগে যাতে ভাগ করে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও করেছেন পরিবারের কাছে। তাদের পোস্ট দেখে পরিচিতরা ফ্ল্যাটে যান এবং দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।

ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল জেরিলের লাশ। তার স্ত্রীর লাশ ছিল সোফার উপর শোয়ানো। ফুল দিয়ে সাজিয়েও দেওয়া হয়েছিল লাশটি।

পুলিশের অনুমান, প্রথমে গলায় দড়ি দেন জেরিলের স্ত্রী। মৃত্যুর পর তার লাশ নামিয়ে সোফার উপর রাখেন জেরিল। ফুল দিয়ে সাজান। তার পর নিজে একই জায়গায় একইভাবে আত্মঘাতী হন। ২৬ বছর আগে যে পোশাক পরে তারা বিয়ে করেছিলেন, মৃত্যুর আগেও সেই পোশাকেই সেজেছিলেন দম্পতি। তাদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, দুজনের লাশ একই কফিনে শুইয়ে কবর দেওয়া হয়েছে।

কেন একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন দম্পতি, পুলিশের কাছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুজনের লাশই পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তাদের মোবাইল ফোনগুলোও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles