
অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে রায় দিয়েছে ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলছে, বিবাহিত হলেও ১৮ বছরের কম বয়সীকে নাবালিকা হিসেবেই গণ্য করে আইন। তাই তার অনুমতি থাকলেও যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের শামিল। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি জি এ সানাপ এ আদেশ দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৪ বছর বয়সী আপিলকারী যুবক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তি দিয়েছিলেন- তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক দু’জনের সম্মতিতে এবং তখন বিবাহিত ছিল। ঘটনার সময় অভিযোগকারীর নাবালক অবস্থারও বিরোধিতা করেন তিনি।
স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগটি তুলেছিলেন মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার এক তরুণী। তার অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক তাদের বাড়ির কাছেই থাকতেন। কাজের সূত্রে ওই তরুণীকে পাশের শহরে যেতে হয়। সেখানে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে প্রতিবেশীদের সাক্ষী রেখে বিয়ে করে ওই যুবক। দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মেই যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়। পরে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে তখনও ওই তরুণী নাবালিকা ছিলেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের পর তার স্বামী তাকে অত্যাচার শুরু করে। অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষণের মামলা করেন তথাকথিত স্বামীর বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় নিম্ন আদালত ওই যুবককে ১০ বছরের জেলের নির্দেশ দেয়। একই রায় বহাল রেখেছে মুম্বাই হাইকোর্ট। এছাড়া বেঞ্চ বলেছে, বৈবাহিক অবস্থা যাই হোক না কেন, ১৮ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের শামিল। এটি অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীদের সাথে সম্মতি ছাড়া সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।