1.3 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ২২, ২০২৫

দুই কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে হত্যার পর শূকরকে খাওয়ানোর অভিযোগ

দুই কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে হত্যার পর শূকরকে খাওয়ানোর অভিযোগ - the Bengali Times
অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি ছবি সংগৃহীত

দুই কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে গুলি করে হত্যা করে লাশ শূকরকে খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক শ্বেতাঙ্গ কৃষক এবং তার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর লিম্পোপো প্রদেশের পোলকওয়েনের কাছে একটি খামারে গত আগস্টে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মারিয়া ম্যাকগাতো (৪৫) এবং লুসিয়া এনডলোভু (৩৪) ওই খামারে খাবারের খোঁজে গেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য তাদের মরদেহ শূকরকে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

- Advertisement -

হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে খামার মালিক জাকারিয়া জোহানেস অলিভিয়ের (৬০) এবং তার দুই কর্মচারী অ্যাড্রিয়ান ডি ওয়েট (১৯) ও উইলিয়াম মুসোরার (৫০) জামিনের শুনানি শুরু করেছেন একটি আদালত।
সন্দেহভাজনদের জামিন প্রত্যাখ্যান করার দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভকারীরা পোলোকওয়ানে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। আদালতে ভিকটিমদের পরিবার এবং অভিযুক্তরা উপস্থিত ছিলেন তখন। ম্যাজিস্ট্রেট এনটিলেন ফেলং আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের শুনানি জনস্বার্থে সংবাদমাধ্যম দ্বারা ভিডিও করার অনুমতি দিয়েছেন।

পরে তিনি আরো তদন্তের জন্য ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের শুনানি স্থগিত করেন। সন্দেহভাজনরা তত দিন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকবেন।

ম্যাকগাতোর ভাই ওয়াল্টার ম্যাথোল বিবিসিকে জানান, এ ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার কালো ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। ৩০ বছর আগে বর্ণবাদী ব্যবস্থার অবসান হওয়া সত্ত্বেও দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো বর্ণবাদ বিদ্যমান।

পোলোকওয়ানের আদালতে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র রাখার এবং এনডলোভুর স্বামী মাবুথো এনকিউবেকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে। দুই নারীর সঙ্গে এনকিউবেও খামার কেতে গিয়েছিলেন।

১৭ আগস্টের ওই সন্ধ্যায় মাবুথো গুলি খেলেও এনকিউবে বেঁচে যান। হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে একজন ডাক্তারের কাছে সাহায্য চান তিনি। তিনি পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন।

এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর পুলিশ তার স্ত্রী এবং ম্যাকগাতোর পচনশীল মৃতদেহ শূকরের খোঁয়াড়ের মধ্যে পেয়েছিলেন।

ম্যাথোল জানান, তিনিও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন। শূকরের খোঁয়াড়ে এক ভয়ানক দৃশ্য দেখেন তিনি, জন্তুগুলো তার বোনের মরদেহের কিছু অংশ খেয়ে ফেলেছে। সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বা অল্প কদিনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। এমন পণ্যের চালান থেকে ভোজ্য খাবারের সন্ধানে ভুক্তভোগীরা ওই খামারে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এসব খাবার মাঝেমধ্যে খামারে রেখে শূকরদের দেওয়া হতো।

বিরোধীদল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটারস (ইএফএফ) বলছে, খামারটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার মানবাধিকার কমিশন এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।

সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এমপুমালাঙ্গায় আগস্টে একটি খামারে দুজন ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে একজন কৃষক ও তার নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা করে মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভেড়া চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles