লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে টাকুয়ারচর গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে হাতেনাতে আটক করেন গ্রামবাসী। পিটুনি দিয়ে রোববার রাত ১১টার দিকে আটকের পর তাদের দুজনকে চরআবাবিল ইইপির হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে দেন গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী গত ১২ বছর ধরে কাতার প্রবাসী। তাদের ১১ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। গত আগস্ট মাসে পরিবারের খরচ ও জমি কেনার জন্য স্ত্রীকে ব্যাংক ও লোকের মাধ্যমে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ৩ লাখ টাকার গহনা পাঠান ওই প্রবাসী।
প্রবাসীর অনুপস্থিতির সুযোগে তার স্ত্রীকে উদমারা গ্রামের কাদের আলীর ছেলে মো. নাসির নামের এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তার দুই দেবরসহ কয়েক যুবক। পরে পরকীয়া প্রেমিকসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন তারা।
রাতে হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম জিকু, নাসির হাওলাদার, মেম্বার তাজুল ইসলামের সামনে উভয়পক্ষের আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে ৫ ঘণ্টার সালিশ হয়। পরে গৃহবধূ প্রবাসী স্বামীর সংসার করবেন, নাকি প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করবেন তা বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত দেবেন- এই মর্মে তাকে তার এলাকার এক আনসার সদস্য এবং প্রেমিক নাসিরকে তার বড় ভাইয়ের হাতে তুলে দেন পুলিশ পরিদর্শক ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে অবুঝ কন্যাশিশুকে প্রবাসীর পরিবারের কাছে রাখতে পারবেন না বলে উপস্থিত সবার সামনে নিয়ে আসেন চাচা মানিক হোসেন।
এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ওই আনসার সদস্য সৈয়দ অনুমতি দেননি ও প্রেমিক নাসিরও কথা বলতে চাননি।
রায়পুরের হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরঞ্জিত বাবু বলেন, গৃহবধূর প্রবাসী স্বামীর অনুরোধে সন্তান কার কাছে থাকবে তা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত জানার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের সন্তানের জন্য তালাক দিতে চাচ্ছে না প্রবাসী মনির। এদিকে গত বছর গৃহবধূ ও তার প্রেমিক আদালতে নোটারির মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। আর অবৈধ কাজ করছেন স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে। এটা খুব অন্যায়।