১৯০৫ সাল থেকে সান্তা ক্লস প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর মধ্য দিয়ে টরন্টোতে ছুটির মৌসুমের শুরু উদযাপন করা হয়ে থাকে। প্যারেডে সাধারণত রঙিন ফ্লোট, ব্যান্ড ও শত শত সান্তা অংশ নিয়ে থাকেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর প্রথমবারের আউটডোরে সান্তা ক্লস প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়নি। প্যারেডটি কানাডা’স ওয়ান্ডারল্যান্ড থেকে ধারণ করে দুই ঘণ্টার প্রাইমটাইমে সম্প্রচার করা হয়েছিল।
তবে এবার দ্বিতীয় বছরের মতো বড় দিনে টরন্টোর রাস্তায় সান্তা ক্লসের প্যারেড দেখা যাবে না। আয়োজকরা শুক্রবার জানিয়েছেন, এ বছর ১১৭তম অরিজিনাল সান্তা ক্লস প্যারেড ব্রডকাস্ট ইভেন্ট হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
প্যারেডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লে চার্টার শুক্রবার বিকালে সিপি২৪কে বলেন, আমরা হতাশ এবং আমি নিশ্চিত আরও অনেকেই হতাশ। আমরা রাস্তায় ফেরার দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা রাস্তায় ফেরার অপেক্ষা করেই আছি এবং আমরা জানি ২০২২ সালে টরন্টোবাসীর সঙ্গে ছুটি উদযাপনে রাস্তায় ফিরতে পারবো।
চার্টার বলেন, অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করার স্বার্থে সশরীরে প্যারেডের আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত কয়েক সপ্তাহ আগেই নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে সংগঠন। ১১ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন না দেওয়া এর মধ্যে অন্যতম। কারণ, প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, ভ্যাকসিনেশনের তথ্য যাচাই, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সক্ষমতা প্যারেড আয়োজকদের নেই।
অন্টারিও সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার বৃহত্তর সক্ষমতায় সান্তা ক্লস প্যারেড আয়োজনের অনুমতি দেবে বলে ঘোষণা দিলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
ইগলিনটন-লরেন্সের এমপিপি রবিন মার্টিন চার্টারকে লেখা এক চিঠিতে প্যারেডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে সশরীরে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বলেন, টরন্টোর সিংহভাগ মানুষ কেবল ভ্যাকসিনেটেডই নন, জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সূচকগুলোও অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হলে মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে আউটডোরে পারিবারিক মিলনে সংক্রমণের ঝুঁকি সামান্য বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার।