4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ফেসবুক লেখা ও বাতচিত

ফেসবুক লেখা ও বাতচিত
অনেকেই ফেসবুকে লেখা কোন পোস্টকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ফেলেন

ফেসবুকে কারো লেখা কোন পোস্টকেই ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া উচিত নয় যদি না একেবারে কারো নাম উল্লেখ করে সরাসরি লেখা হয়।

কথাটি এই কারনেই বললাম, অনেকেই ফেসবুকে লেখা কোন পোস্টকে ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ফেলেন। ফলে, এক ধরনের বৈরিতা, মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়,দূরত্বের সৃষ্টি হয়।

- Advertisement -

ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবধারার মানুষ থাকে। থাকে বিভিন্ন মতবাদের মানুষ। সবার চিন্তাধারাও এক নয়। এমনও মানুষ থাকতে পারে যে একেবারেই আপনার ভাবনার বিপরীতে চলে। আপনার ভাবনার সাথে তার কোন মিলই নেই। তার কোন লেখা আপনার ভালো না লাগতে পারে, আপনার মনোপুত নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার কি উচিত হবে সেই লেখাটিকে মনের মধ্যে পুষে রেখে অহেতুক অর্ন্তজ্বালায় ভোগা? আপনি এমন কেন আশা করেন যে, কেউ আপনার মনের মতো করে লেখবে? কেউ আপনার ভাবনার সাথে সংগতি রেখে লেখবে? সেই রকম আশা করা তো বড় ভুল।

এমনও তো হতে পারে যার লেখার কারনে আপনি মনে কষ্ট পাচ্ছেন কিংবা মনে মনে বিক্ষুব্ধ হচ্ছে সেই মানুষটিও আপনার অনেক লেখাই পছন্দ করেন না। সেই মানুষটি হয়ত আপনার যে লেখাটা ভালো না লাগে সেই লেখাটি ইগনোর করেন, ব্যক্তিগতভাবে নেন না কিংবা তা মনের মধ্যে পুষেও রাখেন না। কারন, সে উদার মনেই মেনে নেন যে, এমন হওয়াটা স্বাভাবিক। এতে মনে করার কিছু নেই।

সবচেয়ে ভালো হয় এমন ভাবা যে, অন্য কেউ আপনার ভাবনাকে represent করেন না কিংবা আপনিও অন্য কারো ভাবনাকে represent করেন না। এটাকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া।

আবার অনেক ক্ষেত্রে আপনার ভাবনার সাথে মিলে যেতেও পারে। সেক্ষেত্রে আপনি “Totally agree” “Well said” “একমত” “সহমত” ইত্যাদি কথাগুলি ব্যবহার করেন।
এই মিলের কারনে আপনার মনে একধরনের ভালো লাগা কাজ করে।
কিন্তু এর বিপরীত হলে কি করবেন? সেটি হওয়া কি অন্যায়? নাকি অনুচিত?
উত্তরগুলি সহজ।

আপনি যেভাবে ভাবেন অন্য একজন সেভাবে ভাবেন না। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি তেমন নাও হতে পারে।

এই ভিন্নতা খুব স্বাভাবিক। এটাকে মনের মধ্যে পুষে না রেখে, ভিন্নতাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles