1.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

মেয়ের জন্য কিডনি খুঁজতে গিয়ে যা করলেন মা-বাবা

মেয়ের জন্য কিডনি খুঁজতে গিয়ে যা করলেন মা-বাবা
ছবি সংগৃহীত

কিডনি প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে এক ব্যক্তিকে পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নাইজেরিয়ার একজন সিনেটর এবং তার স্ত্রী। সম্প্রতি লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী মে মাসে তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ার সিনেটর আইক একওয়েরেমাডু (৬০) এবং তার স্ত্রী বিয়েট্রিস (৫৬) দম্পতির মেয়ে সোনিয়া (২৫) কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। ফলে মেয়ের জন্য কিডনিদাতার সন্ধানে ছিলেন তারা। একপর্যায়ে নাইজেরীয় শহর লেগোস থেকে এক হকারকে (২১) আট হাজার ডলার এবং যুক্তরাজ্যে সুন্দর জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আনা হয়। ওই ব্যক্তি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই তিনি বুঝতে পারেন কী ঘটতে চলেছে।

- Advertisement -

ব্রিটিশ সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, আধুনিক দাসত্ববিরোধী আইনের আওতায় একওয়েরেমাডু দম্পতি এবং একজন চিকিৎসক (৫০) প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অঙ্গ পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন। তবে একওয়েরেমাডু দম্পতির মেয়ে সোনিয়াকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একওয়েরেমাডু দম্পতি এবং সেই চিকিৎসক।

শুনানি থেকে জানা যায়, লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে ৮০ হাজার পাউন্ড ব্যয়ে প্রাইভেট ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ভুক্তভোগীকে গত বছর ব্রিটেনে আনা হয়। পারিবারিক সম্পর্ক না থাকলেও মামলার আসামিরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে ওই ব্যক্তি সোনিয়ার চাচাতো ভাই।

তবে কয়েকটি কারণে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন, কিডনিদাতা ওই প্রতিস্থাপনের জন্য অনুপযুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি সম্পর্কে ভুক্তভোগীর কোনো কাউন্সেলিং না পাওয়া এবং আজীবন সেবা ও যত্নের জন্য তার কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকা।

প্রসঙ্গত, পরিকল্পনাটি ভেস্তে গেলে একওয়েরেমাডু দম্পতি তুরস্কে গিয়ে মেয়ের জন্য অন্য একজন কিডনিদাতা খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কিডনিদাতা যুবকটি লন্ডন থেকে পালিয়ে যায় এবং একটি থানায় গিয়ে এ বিষয়ে অবগত করে। তারপরেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles