9.2 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বন্ধুকে দিয়ে জুনিয়রকে ধর্ষণ করানোর হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর!

বন্ধুকে দিয়ে জুনিয়রকে ধর্ষণ করানোর হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর!
অভিযুক্ত আতিফা হক শেফা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করানোর হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দেন তিনি। এমন অভিযোগ এনে লিখিত আবেদন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার ইনস্টিটিউটের ‘অভিযোগ তদন্ত কমিটি’র সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযুক্ত আতিফা হক শেফা মুন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং একই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

- Advertisement -

লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী দাবি করেন, কিছুদিন ধরে তিনি ইনস্টিটিউটের কয়েকজন বড় ভাই-বোনের মাধ্যমে মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ইনস্টিটিউটের এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, ইতি মণ্ডল, শাহবাজ তন্ময়, আতিফা হক শেফা উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখানে বিভিন্নভাবে অশালীন কথাবার্তা ও অপ্রত্যাশিত অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন।

লিখিত পত্রে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, গত রবিবার তাকে ফোন দিয়ে দেখা করার জন্য আতিকুর ও আতিফা চাপ দিতে থাকেন। বাধ্য হয়ে তিনি তার কয়েকজন সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে বিভাগের সামনের চায়ের দোকানে যান। সেখানে চরিত্র নিয়ে নানা রকম গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেন আতিফা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য সহপাঠীদেরও হেনস্তা করেন আতিকুর ও আতিফা। তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেও মন্তব্য করে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফা ও আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা তাদের ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবুও যেহেতু তাদের পদ রয়েছে সেহেতু আমরাও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ইনস্টিটউটের তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকতার বানু বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি অন্যান্য ডকুমেন্ট (প্রমাণ) দিতে বলেছি। সকল ডকুমেন্ট পেলে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি এখনো আমার হাতে আসেনি। যদি আমি অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles