8.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

১২ বছর খাঁচাবন্দি মোমো, অন্তঃসত্ত্বার খবরে হতবাক সবাই

১২ বছর খাঁচাবন্দি মোমো, অন্তঃসত্ত্বার খবরে হতবাক সবাই

খাঁচায় একাই থাকত মোমো নামের বানর প্রজাতির প্রাণীটি। ১২ বছরের মোমো জাপানের এক চিড়িয়াখানার বাসিন্দা। আচমকাই চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানতে পারেন সে অন্তঃসত্ত্বা!

- Advertisement -

স্বাভাবিকভাবেই নাগাসাকির কুজুকুসিমা চিড়িয়াখানার কর্মীরা এই ঘটনায় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোমো জন্ম দেয় তার সন্তানের। অবশেষে সমাধান হলো সেই শাবকের জন্মরহস্য। জানা গেল তার বাবা কে আর কীভাবেই বা মোমো তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে লিপ্ত হয়েছিল।

প্রথম থেকেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের চক্ষু চড়কগাছ হচ্ছিল এটাই ভেবে যে, মোমো একটা সম্পূর্ণ আলাদা খাঁচায় থাকত। তার পক্ষে কোনো পুরুষ গিবনের সংস্পর্শে আসাটাই অসম্ভব। তবে ওই স্ত্রী গিবনটির আশপাশের খাঁচায় পুরুষ গিবন রয়েছে, একথাও তাদের মাথায় ছিল। কিন্তু প্রশ্ন ছিল এটাই, কী করে তাদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে গিবনটি? প্রতিটি খাঁচাই যে শক্ত গরাদ ও তারজাল দিয়ে বাঁধা।

মোমোর সন্তানের বাবা কে, জানতে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। আর তা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় ইটো নামের ৩৪ বছরের এক গিবনই এই কম্মো করেছে। সে থাকত মোমোর একেবারে পাশের খাঁচাতেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে অবশেষে আসল বিষয়টা জানতে পারেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, দুই খাঁচার মধ্যে বিভাজনকারী যে ধাতব প্লেট, সেখানে অবস্থিত একটি ছোট্ট ছিদ্র দিয়েই সম্পর্ক করেছে ওই দুই প্রাণী। ছিদ্রটি মোটামুটি ৯ মিলিমিটার অর্থাৎ ০.৩ ইঞ্চি ব্যাসের।

মোমোর বছর দুয়েকের সন্তানের ওজন এখন দুই কেজি। সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে সে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই দামি প্রাণকে তারা প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা দিচ্ছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে এমন অপরিকল্পিত গর্ভধারণ না করতে হয় মোমোকে, তাই খাঁচায় এবার নতুন ইস্পাতের প্লেট লাগিয়ে দিয়েছেন তারা।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles