বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্যুরিজম ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনেশনের হার বাড়তে থাকায় ভ্রমণকারীদের মধ্যে আস্থাও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২১ সালের জুনে প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল ট্রাভেল সার্ভিস প্রতিবেদন বলছে, বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হবে বলে আমরা ধারণা করছি। তখন ভ্রমণকারীদের আত্মবিশ্বাসও আরও বাড়বে। ২০২৪ সালের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ভ্রমণ মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরবে।
এদিকে, চাহিদা বাড়তে থাকায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪১টি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে সার্ভিস কানাডা। পুরো মহামারিজুড়ে জরুরি পাসপোর্ট সেবা চালু আছে কানাডায়। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় জনস্বাস্থ্যবিধি বলবৎ থাকায় জনগণের খুব কমই সুযোগটি নিয়েছেন। মহামারি শুরু হওয়ার আগে সার্ভিস কানাডা ২৩ লাখের বেশি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে। তবে এ বছর হস্তান্তর করেছে মাত্র ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২৫টি পাসপোর্ট। চাহিদা বাড়তে থাকায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪১টি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে সার্ভিস কানাডা।
কানাডিয়ান সরকার এখনও দেশের বাইরে অনাবশ্যক ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিচ্ছে। বিদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে দেশে তা বয়ে আনা বন্ধ করতেই এ পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু ৮ নভেম্বর ভ্যাকসিনেটেড ভ্রমণকারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হওয়ায় পাসপোর্টের চাহিদা বেড়ে গেছে।
এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডা এক বিবৃতিতে বলেছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সার্ভিস কানাডা পাসপোর্টের বর্ধিত চাহিদার প্রস্তুতি শুরু করেছে। সার্ভিস কানাডায় আবেদনের ২০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীরা তাদের পাসপোর্ট হাতে পাবেন। তবে কেউ কেউ এক মাসেরও বেশি সময় অপেক্ষার কথাও জানিয়েছেন।
পরিবার, শিশু ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেনের প্রেস সেক্রেটারি মিকায়েলা হ্যারিসন এক বিবৃতিতে বলেন, বর্ধিত চাহিদা রবিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। মানদ-ের মধ্যে থেকে কানাডিয়ানদের পাসপোর্ট সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে সরকার এ সংক্রান্ত প্রোটোকল চালু করেছে।