6.3 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

দুর্নীতির দায়ে সাবেক তহশিলদারের ৮৪ বছর জেল

দুর্নীতির দায়ে সাবেক তহশিলদারের ৮৪ বছর জেল

দুর্নীতি মামলায় নড়াইল সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সাবেক তহশিলদার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে আলাদা ৫টি মামলায় ৮৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত। একই সাথে আত্মসাতকৃত টাকা রাষ্ট্রের অনুকুলে চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক আলাদা রায়ে এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস নড়াইল কালিয়ার শুক্র গ্রামের মৃত প্রিয় নাথ বিশ্বাসের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম বিপ্লব।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০২ সালে চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তৎকালীন তহশীলদার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের দেয়া বার্ষিক আদায়কৃত ভুমি উন্নয়ন করের জমা দেয়া চালানের ফটোকপি যাচাই বাছায় করার আদেশ দেন নড়াইল সদর সহকারী কমিশনার (ভুমি)। উপজেলা ভুমি অফিসের কানুনগো হাবিবুল্লাহ বাহার ওই বছরের ৭ অক্টোবর ও ১৩ অক্টোবর চালানের ফটোকপি নিয়ে সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় যান যাচাই বছাইয়ের জন্য।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চালানের ফটোকপি দেখে ভুয়া বলে জানিয়ে দেন। তাতে দেখা যায় তহশিদার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস ১৯৯৯-২০০০ ও ২০০০-২০০১ অর্থবছরে আউড়িয়া ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকায় অবস্থায় ভুয়া চালানের কপি জমা দিয়েছিলেন কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে। সর্বসাকুল্যে তিনি দুই অফিসে কর্মরত থাকায় অবস্থায় আদায়কৃত ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০৯ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেন।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কানুনগো হাবিবুল্লাহ বাহার বাদী হয়ে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর নড়াইল সদর থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক তহশিলদার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় আসামি নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২৬ মে দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুর রহমান আদালতে আলাদা ৫টি চার্জশিট জমা দেন। একই অভিযোগ থেকে পরবর্তীতে আলাদা ৫ মামলায় রূপ নেয়। পরবর্তীতে এ ৫ মামলা বিচারের জন্য যশোর স্পেশাল জজ আদালতে বদলী করা হয়।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তিন মামলায় আলাদা ধারায় ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৮ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর দুই মামলায় আলাদা ধারায় ৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১২ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৯ মাস করে বিনাশ্রম করাদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ে সাজা একই সাথে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles