4.8 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

সমকামিতায় ‘বাধা পেয়েই’ কি ছাত্রীর আত্মহত্যা

সমকামিতায় ‘বাধা পেয়েই’ কি ছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে স্নেহা নামের ওই ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। দুই বান্ধবীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্কে বাধা পেয়েই কি আত্মঘাতী হয়েছিল ওই ছাত্রী? এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে নিহতের বান্ধবী ও তার বাবার বক্তব্য। নিহতের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো বার্তাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। আর পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহতের বান্ধবী জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার চেষ্টাও করেছিল।

- Advertisement -

নিহত ছাত্রীর বান্ধবী বলেন, ‘আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। দুই বছর আগে ওর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক ছিল। মাস তিনেক আগে ও আমাকে এক যুবকের সঙ্গে কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেখানে দমদমে গার্লস হোস্টেলে ছিলাম। সেখান থেকে আমার বাবা খুঁজে নিয়ে আসে। এর মাঝে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল না।’

এদিকে, কলকাতা থেকে মেয়েকে মালদহে ফিরিয়ে আনার পর তাকে বিহারের আজমনগরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন নিহতের বান্ধবীর বাবা। এরপর দুই বান্ধবীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।

নিহত কিশোরীর বান্ধবীর বাবা বলেন, ‘ওদের মধ্যে ভালাবাসার সম্পর্ক ছিল। ওরা দরজা বন্ধ করে একঘরে থাকত। আমরা জানতাম না যে, মেয়েদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা হয়।’

সম্প্রতি ফেসবুক মেজেঞ্জারে দুই বান্ধবীর কথোপকথনের তথ্য এবং কিছু ছবি পুলিশের হাতে এসেছে। যা দেখে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, দুজনের মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। মালদহ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তারপর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও, নিহতের পরিবার সমকামিতার বিষয়টি মানতে নারাজ। নিহতের কাকা বলেন, ‘দুই বান্ধবীর মধ্যে যে সম্পর্কের কথা বলছে ওরা, তা আমরা জানতাম না। এই নিয়ে আমাদের কোনো ধারণাও নেই। জীবনে তা শুনিওনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওর বান্ধবী একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। যার জন্য তার বাবা আমাদের মেয়েকে দোষারোপ করত। ওকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। এমনকি ১১ লাখ টাকাও দাবি করেছিল। এরপর আমাদের সন্দেহ হয়।’ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তার ভাতিজি আত্মহত্যা করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles