14.3 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

নববধূর রুমে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ

নববধূর রুমে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ

লালমনিরহাটে নাজমুল হুদা (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি তার মৃত্যুটি রহস্যজনক।

- Advertisement -

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের আলাবকস বুড়িরপাট গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নাজমুল ওই গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫-৬ মাস আগে একই ইউনিয়নের সিন্দুরমতি কৃষ্ণকান্ত গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে নাজমুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা ছিল না। নাজমুলের সংসার করতে চাইতেন না সুমি আক্তার। এ নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতেও চলে যান দীর্ঘদিনের জন্য। অবশেষে স্থানীয়ভাবে বৈঠক করে সুমিকে স্বামীর বাড়িতে পাঠায় তার পরিবার। আবারও তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

রোববার (০৪ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিতর্ক বাঁধে। বিষয়টি সন্দেহ হলেও লজ্বায় মাঝরাতে ছেলের রুমে যাননি নাজমুলের মা লাইজু বেগম। পরে সোমবার সকালে নাজমুলের মায়ের ডাকে দরজা খুলে দেন সুমি আক্তার। রুমে গিয়ে খাটের স্ট্যান্ডে ছেলের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন নাজমুলের পরিবার।

এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুলের স্ত্রী সুমি আক্তারকে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে সোমবার রাতে এ ঘটনায় নাজমুলের মা লাইজু বেগম বাদি হয়ে সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, প্রথম দিকে মরদেহ মর্গে পাঠাতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় জোরপুর্বক মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীকে থানায় নেওয়া হলেও পরে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তিতে দেওয়া নিহতের মায়ের অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। মর্গের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না।

সূত্র : বাংলানিউজ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles