8.8 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বিমান ও ট্রেনে যাত্রীদের মাস্ক পরার আহ্বান

বিমান ও ট্রেনে যাত্রীদের মাস্ক পরার আহ্বান
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা

দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিমান ও ট্রেনে যাত্রীদের মাস্ক পরিধানের আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেল সরকার। পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এটিকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে নন তিনি।

ওমর আলঘাবরা বলেন, বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যামের ব্রিফের পর এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিমানে যাত্রার সময় আমি মাস্ক পরিধান অব্যাহতি রেখেছে। আমাদের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর সৃষ্ট চাপ বিবেচনায় নিয়ে আমাদের চারপাশেল লোকজনকে সুরক্ষিত রাখার এটাই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

- Advertisement -

প্রাদেশিক সরকার সম্প্রতি বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নীতি ফিরিয়ে আনবেন কিনা তা নিয়ে যখন চিন্তা-ভাবনা করছে ঠিক সেই সময় পরিবহনমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রায় সব বিধিনিষেধ এ বছরের গোড়ার দিকে তুলে নিয়েছে প্রদেশ। ফেডারেল সরকার কানাডায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সব ধরনের বিধিনিষেধ অক্টোবরের শুরুতে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মাস্ক পরিধানও রয়েছে এর মধ্যে।
আালঘাবরা বলেন, অটোয়া চিকিৎসক ও উপাত্তকে অনুসরণ অব্যাহত রাখবে।

কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও আরএসভির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি দেশের কিছু অংশের হাসপাতালকে চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ডা. তেরেসা ট্যাম গত

সপ্তাহে বলেন, সতর্কতা বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
অন্টারিওর জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর জনগণকে আবারও মাস্ক পরিধান করতে জোরালো সুপারিশ করেছেন। প্রদেশের শিশু হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

অন্টারিওর শিশু হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ১১৪ জন শিশু। যদিও সর্বোচ্চ ১১২ জনকে ভালোমতো সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। যদিও অন্টারিওর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভিয়া জোন্স বলেছেন, শ^াসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তির যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল, তা কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে।
নোভা স্কশিয়ায় শ^াসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইডব্লিউকে হেলথ সেন্টারের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. এন্ড্রু লিঙ্ক বলেন, তার ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে এত বেশি রোগী তিনি দেখেননি।

This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles