প্রায় ৮৬ শতাংশ কানাডিয়ানের বসবাস সেইসব এলাকাগুলোতে যেখানকার অতি সূক্ষ্ম পার্টিকুলেট ম্যাটারের স্তর ডব্লিউএইচওর নতুন নীতিমালায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দ্য কানাডিয়ান আরবান এনভায়রনমেন্টাল হেলথ রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের (সিএএনইউই) গবেষকদের নতুন নীতিমালায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিংহভাগ কানাডিয়ানই সেইসব স্থানে বসবাস করেন যেখানকার বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নতুন নির্দেশিকা অতিক্রম করে গেছে, যা জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনটাই বলছেন গবেষকরা।
দ্য কানাডিয়ান আরবান এনভায়রনমেন্টাল হেলথ রিসার্চ কনসোর্টিয়ামের (সিএএনইউই) গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নতুন নীতিমালাটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর জনস্বাস্থ্য, রাসায়নিক প্রকৌশল ও ফলিত রসায়নের অধ্যাপক জেফ ব্রুক বলেন, যেসব স্থানের নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা নতুন নীতিমালায় নির্ধারিত মানকে ছাড়িয়ে গেছে সেসব স্থানে বসবাস করেন প্রায় ৫৬ শতাংশ কানাডিয়ান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নীতিমালায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম২.৫ এর গ্রহণযোগ্য গড় ঘনত্ব উল্লেখ করা হয়েছে ৫ মাইক্রোগ্রাম। পিএম২.৫ এতোটাই সূক্ষ যে শ্বাস নেওয়ার সময় অনায়াসেই তা মানুষের ফুসফুস ও রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে সক্ষম।
এনভায়রনমেন্ট কানাডার সাবেক বিজ্ঞানী ব্রুক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কিছু করার আছে। এটা আমাদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় ক্ষত তৈরি করছে। এটা জীবনমানের অবনতি ঘটাচ্ছে।
হেলথ কানাডার হিসাব অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে কানাডায় প্রতি বছর মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ৩০০ জনের। এছাড়া বায়ু দূষণের কারণে অনেকেই অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকেন। বায়ু দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি বছর কানাডায় কার দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
সিএএনইউইর আরেকটি গবেষণাতেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। বিসি লাং অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য বলছে, ভিক্টোরিয়া, লোয়ার মেইনল্যান্ডের অধিকাংশ অঞ্চলসহ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বেশিরভাগ মিউনিসিপ্যালিটির বায়ু দূষণ সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
২০১৮ সালে প্রকাশিত বার্ষিক বায়ুমান প্রবণতা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টরন্টোতেও বায়ু দূষণ নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করে গেছে। ডাউনটাউন টরন্টোর বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নীতিমালায় নির্ধারিত মাত্রার দ্বিগুনেরও বেশি।