10.7 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

চীনা সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধের জন্য’ প্রস্তুত হতে বললেন সি চিনপিং

চীনা সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধের জন্য’ প্রস্তুত হতে বললেন সি চিনপিং

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বলেছেন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ক্রমশ অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এ জন্য তিনি সেনাবাহিনীকে শক্তি সামর্থ্য বাড়িয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

- Advertisement -

৬৯ বছর বয়সী সি চিনপিং গত মাসে টানা তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এরপর তিনি ক্ষমতাবলে পাঁচ বছরের জন্য পুনরায় চীনা সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি একই সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং ছাড়া সি চিনপিং একমাত্র নেতা, যিনি ১০ বছরের মেয়াদ শেষ করার পর পুনরায় ক্ষমতাগ্রহণ করেছেন।

সিনহুয়া জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সি চিনপিং সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) যৌথ অপারেশন কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। সেন্টারে পৌঁছার পর সি চিনপিংকে একটি ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে। এরপর সিএমসির প্রধান হিসেবে সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব এক গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চীনের জাতীয় নিরাপত্তা এখন ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। এর ফলে সামরিক কাজগুলো কঠিন হয়ে পড়েছে।’

সি তাঁর ভাষণে আরও বলেন, ‘সামরিক বাহিনীকে এখনই যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত এবং যুদ্ধ জয়ের জন্য সমস্ত শক্তি নিবেদন করা উচিত।’ এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ২০২৭ সালের মধ্যে চীনা সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সি চিনপিং। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘একটি বিশ্বমানের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।’

গত মাসে পার্টি কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যেও সি চীনা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ জয়ের সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও অন্যান্য প্রস্তুতির বিষয়ে উন্নতি করতে বলেছিলেন। ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সামরিক বাহিনীর স্বাভাবিক ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারকে শক্তিশালী করব। দৃঢ় সংকল্প এবং নমনীয়তার সঙ্গে সামরিক সংগ্রাম চালাব। নিজেদের নিরাপত্তা বিধান করব এবং স্থানীয় যুদ্ধে জয়ী হব।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles