মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী ও তার দোসররা এখনও দেশে বিশৃংখলা তৈরির ষড়যন্ত্র করছে, কারণে অকারণে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এখন আবার তারাই কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখার কাজটি করেছে। কোন পাগলে বলবে কোরআন শরীফ নিয়ে হিন্দুরা তাদের পূজা করে। তাদের সাথে আমাদের আল কোরআনের কি সর্ম্পক। তারা তাদের ধর্ম পালন করবে। গোপনে তারা সেখানে কোরআন শরীফ রেখে এসেছে, ধরাও পড়েছে। পরে চারিদিকে ফোন করে বলে দিল কোরআনের অবমাননা চলছে এই মন্দিরে। একটা ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এই পায়তারা করছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ে জেলার পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। আমরা সেই অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানীদের নাস্তানাবুদ করেছি। ১৬ ই ডিসেম্বর তারা আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে এবং হাজার বছর ধরে হিন্দু মুসলমান আমরা একত্রে বসবাস করছি। কোনদিন হিন্দু ধর্মালম্বিরা কুরআন অবমাননা করেনি। এই গুলো ইচ্ছা করেই করা হচ্ছে। ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য। তাই এই ডিজিটাল যুগে মিথ্যাচার করে সারাক্ষন অপপ্রচার করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন : এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না পায়: শেখ হাসিনা
মন্ত্রী আরও বলেন, চোরের মার বড় গলা। তারা এতিমের টাকা চুরি করেছে। এটি আমার কথা নয় আদালতের কথা। খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক জিয়া বিদেশ থেকে নিয়ে আসা এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে। তারা জানে সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। শেখ হাসিনাকে আর পরাজিত করা যাবেনা।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ার্যমান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ প্রধান, মো. সায়খুল ইসলাম, এটিএম সারোয়ার হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। জাতির পিতাসহ তার পরিবারের প্রতি শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামণা করে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামণা করে বিশেষ দোয়া মোনাজত পরিচালনা করা হয়।
এরপর তিনি ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে নবনির্মিত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। ২ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪০ টাকা ব্যায়ে কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।