2.9 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

৭ বছরের শিশুকে দোকানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার যুবক

৭ বছরের শিশুকে দোকানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার যুবক

চিপস কিনে বাসায় ফেরার সময় মারজান হক বর্ষা নামের ৭ বছরের এক শিশুকে জোর করে মুদির দোকানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে লক্ষণ দাশ (২৮) নামে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। পরে তাকে বস্তায় ভরে পাশের নালায় ফেলে দেয় ঘাতক লক্ষণ। এমন পাশবিকতার পরও লক্ষণের চলাফেরা কাজকর্মে একেবারেই স্বাভাবিক। দিব্যি কাজ করছিল বর্ষার প্রতিবেশী দোকান কর্মচারী।

- Advertisement -

চট্টগ্রামের জামালখানে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নালা থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন জামালখানের মুদির দোকান শ্যামলী স্টোরের কর্মচারী লোহাগাড়ার বাসিন্দা লক্ষণ দাশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোতোয়ালী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মারজান হক বর্ষা চিপস কিনে গলি দিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাকে ফুঁসলিয়ে গোডাউনে নিয়ে যায় শ্যামলী স্টোরের কর্মচারী লক্ষণ দাশ। তাকে গোডাউনের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় বর্ষার গোপনাঙ্গে রক্ত বের হলে ভয় পেয়ে যায় ধর্ষক। তাই শ্বাসরোধ করে বর্ষাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে পাশের নালায় ফেলে দেয়। ওই দিনই বিকাল সাড়ে ৪টায় নিখোঁজ হওয়ার এক দেড় ঘণ্টার মধ্যেই এসব কাজ সংঘটিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মরদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরমধ্যে রাতে মুদির দোকানের কর্মচারি লক্ষণকেও আটক করে থানায় আনা হয়। রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুক্রবার সকালে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে দোকান কর্মচারি লক্ষণ দাশ।’

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে চিপস কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মারজান হক বর্ষা নামে সাত বছরের শিশুটি। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার জামালখানের শিকদার হোটেলের পাশের গলিতে বড় নালা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়। সে স্থানীয় কুসুমকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই এলাকাতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতো বর্ষা। তার বাবা আব্দুল হক, মা ঝর্ণা বেগম। তাদের ছয় মেয়ের মধ্যে সবার ছোট বর্ষা।

বর্ষার বড় বোন জানায়, সোমবার বিকালে শিকদার হোটেলের পাশের গলির শাওন ভবনের নিচতলার বাসা থেকে চিপস কিনতে বেরিয়েছিল বর্ষা। এরপর থেকে আর তার খোঁজ না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় মঙ্গলবার সাধারণ ডায়েরি করেছিল পরিবার। ওইদিন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবের মধ্যেও পুরো এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হয়েছিল। এরপরও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই এলাকার একটি নালায় বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি নালা থেকে তুলে আনে।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles