9.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স : পর্ষদে মিলেমিশে ১০৪ কোটি টাকা লোপাট

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স : পর্ষদে মিলেমিশে ১০৪ কোটি টাকা লোপাট

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা মিলে প্রায় ১০৪ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপিত কার্যবিবরণীতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জমি কেনার নামে কোম্পানি থেকে ১৩ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হাজার হাজার গ্রাহক।

- Advertisement -

জানা গেছে, হোমল্যান্ড লাইফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৩১তম বোর্ড সভায় আত্মসাৎ করা ১০৪ কোটি টাকা উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যা এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডিতেও পাঠানো হয়েছে।

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, জমি কেনার নামে এই কোম্পানি থেকে ১৩ কোটি হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হোমল্যান্ড লাইফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী এনাম উদ্দিন আহমেদ, পরবর্তী চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর ও ফয়জুল হকের সময়কালের পরিচালনা পর্ষদে জমি ক্রয়সহ মোট ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জমি কেনার নামে কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এ ঘটনায় হোমল্যান্ড লাইফের দায়েরকৃত মামলায় কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মৃত কাজী এনাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে আরাফাত কাজী আহমদকে এক বছরের জেল দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম। ২০১০ সালের ১০ মার্চ আদালতের এই রায়ে ৬ মাস কারাবাসের পর জামিন নিয়ে পলাতক আছেন আরাফাত কাজী আহমদ।

পর্ষদে সিলেটি প্রভাব
হোমল্যান্ড লাইফ বিমা খাতে ব্যবসা শুরু করে ১৯৯৬ সালে। এ সময়ে কোম্পানির বেশিরভাগ পরিচালক ছিলেন সিলেটের। তারা সবাই লন্ডন প্রবাসী। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর থেকে সিলেটের লন্ডন প্রবাসী পরিচালকরা ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কোনও বোর্ড সভা আয়োজন না করে সিলেটে বোর্ড সভা করতে শুরু করেন। এ সময়ে জমি ক্রয়, শেয়ার কেনা-বেচার নামে কোম্পানি থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নিতেই ঢাকার প্রধান কার্যলয়ে বোর্ড সভার আয়োজন করা হতো না। সিলেটের জল্লার পাড়ে বির্তকিত জমি ক্রয়, সিলেটের টুকের বাজারে অস্থিত্বহীন জমি ক্রয় ও মাটি ভরাট, জমি ক্রয় বাবদ দালালকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় সিলেটে অনুষ্ঠিত সেসব বোর্ড সভাগুলোতে।

সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আব্দুস শুক্কুর কোম্পানির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি কোম্পানি থেকে বিলাসবহুল জিপ গাড়ি উপহার নেন। পরবর্তী সময়ে বিশেষ নিরীক্ষায় গাড়ি উপহার নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুরের ছেলে কোম্পানির উদ্যোক্তা শামীম আহমেদ গাড়িটি হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সকে ফেরত দেন।

পরিচালক ফয়জুল হকের বিরুদ্ধে মামলা
৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক ফয়জুল হকের

বিরুদ্ধে হোমল্যান্ডের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকতা শারাফাত উল্লাহ ঢালী মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবতীকালে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে সে মামলা তুলে নেয় হোমল্যান্ড। কিন্তু একটি টাকাও ফেরত দেননি হোমল্যান্ডের বর্তমান পরিচালক ফয়জুল হক। ২০০৯ সালে ফয়জুল হক পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে কমিশন ও সার্ভিসিং সেন্টারের নামে ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাস বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় কেউ কেউ জামিনে আছেন।’ তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৩ সালে আমাদেরকে তারা বোর্ড থেকে বের করে দিয়েছেন। পরে যখন কোম্পানির অবস্থা খারাপ, তখন ২০০৩ সালে আবারও আমাদের বোর্ডে নেওয়া হয়েছে। আমরা এসে তদন্ত করে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা বের করেছি।

অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির একাধিক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ভালো এই প্রতিষ্ঠানটিকে ডুবানোর জন্য সিলেটি কয়েকজন দায়ী। আর প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু সিলেটিরা নয়, পর্ষদের সদস্যরা মিলেমিশে অর্থ লোপাট করেছেন হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের।

১০৪ কোটি টাকা উদ্ধারের সিদ্ধান্ত
হোমল্যান্ড লাইফের প্রধান কার্যালয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৩১তম বোর্ড সভায় কোম্পানির আত্মসাতকৃত ১০৪ কোটি টাকা উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। হোমল্যান্ডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন— সম্প্রতি মাগুরার গ্রাহকের মামলায় জেল ফেরত লন্ডন প্রবাসী সাত পরিচালকসহ ১৪ পরিচালক। বোর্ড সভায় উপস্থিত পরিচালকরা হলেন— মো. জামাল মিয়া, সালেহ হোসেন, মো. আবদুর রব, আব্দুর রাজ্জাক, মো. কামাল মিয়া, মো. জামাল উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, মো. আব্দুল আহাদ, হোসনে আরা নাজ, মোহাম্মদ শামীম আহমদ, স্বতন্ত্র পরিচালক শওকতুর রহমান, মো. আখতার হোসেন ও ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরী।

সভায় ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও ঘটনার বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে আত্মসাতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোর হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হয়।

বোর্ড সভার বিবরণ অনুযায়ী, আত্মসাতকৃত ১০৪ কোটি টাকার মধ্যে সিলেটের টুকের বাজারে স্থানে ২০০৩ থেকে ২০০৪ সালে ১ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নাম সর্বস্ব (অস্তিত্ববিহীন) জমি কেনা হয়। ওই জমিতে মাটি ভরাট ও কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার নামে ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৬০ টাকা আত্মসাৎ করেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী এনাম উদ্দীন আহমেদ, পরিচালক আব্দুর শুক্কুর, ফারুক আহমেদ, নজরুল ইসলাম ও নাফিছা সালমা। একই সময়ে জমি কেনার কমিশন বাবদ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন সাবেক চেয়ারম্যান কাজী এনাম উদ্দীন আহমেদ।

এছাড়া সিলেটের জল্লার পাড়ে আরও একটি জমি কেনা বাবদ ২০০৪ সালে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন হোমল্যান্ড লাইফের তৎকালীন পরিচালকরা। এই জমিটি কোম্পানির কাছে বিক্রির নামে হোমল্যান্ড লাইফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদের ছেলে কাজী আরাফাত কোম্পানি থেকে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে আত্মসাৎ করেন। ২০০৫ সালে আরও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা অগ্রিম নেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী এনাম।

জানা যায়, ২০১২ সালে কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম শিপু জল্লার পাড়ের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত দালালদের কমিশন পরিশোধের নামেও ২০০৩-২০০৪ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এছাড়া ২০০৯ সালে অডিট ফার্ম একনবীনের করা বিশেষ নিরীক্ষায় হোমল্যান্ড লাইফের ১৬ কোটি টাকা অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। কোম্পানির পল্লী পারিবারিক বিমায় ঋণ প্রদানের নামে আত্মসাৎ করা হয় ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। সার্ভিস সেন্টারের নানান খাতের ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয় ৬৩ কোটি টাকা। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে কোম্পানির লোকসান করা হয় ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। এছাড়া আরও ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা চলমান রয়েছে।

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবি, বেহাত হয়ে যাওয়া কোম্পানির ১০৪ কোটি টাকা উদ্ধারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে লন্ডন প্রবাসী পরিচালকদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাসকে পদত্যাগ করার জন্য তারা চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

‘পাশে থাকুন,আমরা আপনার পাশে’
‘আপনি যেখানেই থাকুন, আমরা সর্বদা আপনারই পাশে’— এই স্লোগান নিয়ে ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এরইমধ্যে দুই যুগ একবছর পার করেছে দ্বিতীয় প্রজন্মের এই বিমা কোম্পানি। কিন্তু বিমা কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে সংকুচিত হয়ে আসায় কমছে নতুন গ্রাহকের সংখ্যা, বিনিয়োগ ও লাইফ ফান্ডের পরিমাণ। এছাড়া মেয়াদ শেষ হলেও দিতে পারছে না গ্রাহকদের বিমা দাবির টাকা। একই সঙ্গে ৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলাও রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দেওয়া ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের নিরীক্ষিত এবং অনিরীক্ষিত ব্যবসা সমাপনীর হিসাব তুলনামূলক পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রায় ১৪ লাখ টাকার বিমার দাবি না দেওয়ার অভিযোগে হোমল্যান্ড লাইফের ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেন মাগুরা জেলার ৪ জন গ্রাহক। গত ২১ সেপ্টেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে লন্ডন থেকে দেশে আসেন এই প্রবাসী পরিচালকরা। অংশ নেন কোম্পানির এজিএম-এ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। ওইদিন গ্রেফতারকৃত আসামিদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

কমেছে প্রিমিয়াম সংগ্রহ
তথ্য বলছে, ধারাবাহিকভাবে কমেছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ। গত ৬ বছরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩৭.২৫ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ। ২০১৫ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১৩৮.১৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এসে এই প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমে দাঁড়িয়েছে ১০০.৯৪ কোটি টাকায়।

বিনিয়োগও কমেছে
তথ্যমতে, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগও কমেছে অব্যাহতভাবে। গত ৬ বছরে কোম্পানিটির সরকারি ও বেসরকারি খাতের মোট বিনিয়োগ কমেছে ৫৯.৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালেই কমেছে ৯.৪৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ। বর্তমানে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সরকারি খাতের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৮১.৭৭ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সালে ছিল ১০৮.৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২৬.৯২ কোটি টাকার বিনিয়োগ কমেছে। অপরদিকে কোম্পানিটির বেসরকারি খাতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ২২.৩০ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সালে ছিল ৫৫.১৫ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ কমেছে ৩২.৮৫ কোটি টাকা।

কমেছে লাইফ ফান্ড
গত ৬ বছরে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লাইফ ফান্ড কমেছে ৩৯.০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালেই কমেছে ১৪.১৬ কোটি টাকার লাইফ ফান্ড। তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের শুরুতে বিমা কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ছিল ২৮৫.৭৫ কোটি টাকা, যা ২০২১ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে ২৪৬.৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৪.৪১ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ১২.৯৯ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ৯.৩২ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালে ১৪.১৬ কোটি টাকা লাইফ ফান্ড কমেছে। অপরদিকে ২০১৫ সালে ২৩.৩৩ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে ১.২৯ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালে ০.৫৫ কোটি টাকা লাইফ ফান্ড বেড়েছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। এদিকে ২০২১ সালের শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ২৪৬.৭১ কোটি টাকা। তবে কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে লাইফ ফান্ডের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ২৮৩.১৮ কোটি টাকা।

প্রিমিয়াম তামাদি
হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২০১৫ সাল থেকে সংগৃহীত নতুন বা প্রথম বর্ষের প্রিমিয়াম গড়ে ৫৬ শতাংশই তামাদি হয়েছে দ্বিতীয় বছরে। অর্থাৎ প্রতি বছর ইস্যুকৃত নতুন পলিসির প্রায় ৪৪ শতাংশ পরবর্তী বছরে চালু থাকছে। সর্বশেষ ২০২১ সালেও কোম্পানিটির ৬৪ শতাংশ নতুন প্রিমিয়াম তামাদি হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে কোম্পানিটির একক ও গ্রুপ ব্যতীত সংগৃহীত ৩৮.৭৯ কোটি টাকা প্রথম বর্ষের প্রিমিয়াম থেকে পরবর্তী বছর ২০২১ সালে নবায়ন এসেছে ১৩.৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাকি ২৪.৮৭ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ প্রিমিয়ামই তামাদি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ৫৭.৫৬ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৫০.২৭ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৫১.৭০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৩৯.৭১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৩৪.০৮ শতাংশ নতুন প্রিমিয়াম তামাদি হয়েছে।

সূত্র : বালা ট্রিবিউন

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles