নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১১ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় আরো এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দেন।
এসময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কামরুল হাসান, শুক্কর আলী, আলী আকবর ও রবিউল ইসলাম। তাদের মধ্যে রবিউল পলাতক। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন ডলি বেগম। তিনিও পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন বলেন, ২০০৫ সালে ফতুল্লার বক্তাবলি ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকার একটি ধান খেতে নিয়ে ১১ বছরের এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা আক্তার হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর দুই আসামি কামরুল ও রবিউল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সে মামলা তাদের বিরুদ্ধে পরের বছরে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে৷ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে নাসরিন বেগম নামে অপর একজনকে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ মামলায় নারীসহ দুই আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক হন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রায়ে সন্তুষ্ট মামলার বাদীসহ নিহতের স্বজনরা৷ স্কুলছাত্রীর বাবা আক্তার হোসেন জানান, আদালত ন্যায় বিচার করেছেন৷ আদালতের দেওয়া রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি৷
সূত্র : ঢাকাটাইমস