8 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কারাগারে মাদরাসা সুপার

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কারাগারে মাদরাসা সুপার

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শালিয়ারা আহম্মদিয়া বাজলুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি নাগরপুর উপজেলার বাটরা গ্রামের সোনা উল্যাহ মিয়ার ছেলে।

- Advertisement -

গতকাল রবিবার ( ১৬ অক্টোবর) আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ও তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণপূর্বক এ আদেশ প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শালিয়ারা আহম্মদিয়া বাজলুল উলুম দাখিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তখন অভিযোগকারী শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আরজু সিকদারের পুত্র মো. ইয়ামিন মিয়া উক্ত পদের প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন।

আবেদনের পর অত্র মাদরাসার সুপার অভিযোগকারীকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তিনি তার সন্তানকে চাকরি দিতে পারবেন। তবে তাকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রতিবন্ধী কৃষক বাবা গোয়ালের চাষের গরু বিক্রি করে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সরল মনে তার হাতে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।

এ সময় মামলার ২ নাম্বার আসামি মো. হাবিবুর রহমানের (অত্র মাদরাসার শিক্ষক) সহযোগিতায় মামলার স্বাক্ষীগণের সামনে অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার অভিযোগকারীর বাড়ি থেকে টাকা ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। অভিযোগকারীকে আশ্বস্ত করেন যে, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ও বাকি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়োগ পরীক্ষা শেষে প্রদান পূর্বক তার চাকরি নিশ্চিত করা হবে। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর সাক্ষাতকারের প্রবেশপত্র পান ও ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি সাক্ষাতকার বোর্ডে উপস্থিত হয়ে সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করেন।

সাক্ষাতকারপর্ব সন্তোষজনক হওয়ায় অভিযোগকারী অতি কষ্টে বাকি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে অভিযুক্ত মাদরাসা সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন। উল্লেখিত পদে চাকরি বা প্রদেয় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিবে না বলে অস্বীকার করেন।

অভিযোগকারী আরজু মিয়া জানান, আমি ও আমার পরিবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার সন্তানের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসা সুপার ঘুষ নিয়ে চাকরিও দিচ্ছে না আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। বাধ্য হয়েই আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

তিনি বলেন, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী কৃষক। পালের গরু ছাগল বিক্রি করে সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে টাকা দিয়েছিলাম। মামলার ২ নং আসামি মো. হাবিবুর রহমান জামিনে মুক্ত হওয়ায় আমি চিন্তিত। তবে আদালতের প্রতি আমার দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস আছে আমি ন্যায় বিচার পাবো।

সূত্র : আরটিভি

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles