2.9 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

‘আমাকে বাঁচান আমি সাহায্য চাই, না হলে আমি মারা যাব’

‘আমাকে বাঁচান আমি সাহায্য চাই, না হলে আমি মারা যাব’

দীর্ঘ পাঁচ মাস দেশে কথা বলতে দেয়নি, কথা বলতে চাইলে বৈদ্যুতিক শক দিত। বেতন চাইলে গরম খুন্তির দিয়ে ছ্যাঁকা দিত, নিয়মিত খেতে দিত না। সৌদি আরবের নিয়োগকর্তা এ রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন পটুয়াখালী ছোট বিঘাই’র প্রবাসী সালমা বেগম।

- Advertisement -

পরিবারের স্বচ্ছলতা ও সন্তানদের মুখে একটু হাসি ফোঁটাতে জীবিকার তাগিদে নারী গৃহকর্মী হিসেবে প্রায় আট মাস আগে সৌদি আরবে যান পটুয়াখালীর সালমা বেগম। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যেতে চাইলে বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। পটুয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মেলে যোগাযোগ। পরে সালমা বেগমকে পাঠানো রিক্রূটিং এজেন্সি মেসার্স স্টার লাইন অ্যা সোসিয়েটের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি ধামকি দেয়। পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে দেশে আনতে পারবেন বলে জানান স্বজনদের।

সালমা বেগম বলেন, ২০২২ সালের ১ মে হাসপাতালের কর্মী হিসেবে সৌদি আরবে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মী হিসেবে কাজ না দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে নিয়ে এসে গৃহকর্মীর কাজ দেয়। এতে মালিকের বাড়িতে যাওয়ার পরদিনই আমার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি কেড়ে নেয় এবং শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক ও যৌন নির্যাতন। ঠিক মতো খাওয়া দেয় না, কথায় কথায় গায়ে হাত তোলে, দেশে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে দেয় না। বরং আরও বেশি নির্যাতন করে, বহুবার বৈদ্যুতিক শক দিয়েছে। এতে আমার হার্টে সমস্যা হয়েছে। অনেক নির্যাতনের কথা মুখে বলতে পারছি না। নির্যাতনে আমার বাম হাত কেটে রক্ত ঝড়েছে, এতে আমি হাসপাতালেও ভর্তি ছিলাম। বৈদ্যুতিক শকের কারণে আমার হার্টে সমস্যা হয়েছে। তারা আমাকে ঠিক মতো চিকিৎসা পর্যন্ত করায় না।

সালমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমাকে বাঁচান, আমি আপনাদের কাছে সাহায্য চাই, না হলে আমি মারা যাব। আমি দেশে আমার স্বামী সন্তানের কাছে যেতে চাই আপনারা একটু ব্যবস্থা করেন।’

সালমা বেগম আরও জানান, কোনও নারী গৃহকর্মী হিসেবে যেন সৌদি আরবে এসে আমার মতো নির্যাতনের শিকার না হয়। নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে আসার আগে তারা যেন ভেবে চিন্তে কাজ করেন।

এভাবেই এখন আর্তনাদ করছেন স্বামী, সন্তান, বাবা-মাকে ভালো রাখার স্বপ্ন নিয়ে সৌদিতে আসা পটুয়াখালীর সালমা বেগম। স্বামীর মাধ্যমে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে অভিযোগ জানালেও কোনও প্রতিকার পায়নি বলে জানান।

আরও পড়ুন : থাপ্পড় খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা, স্ত্রীর কারাদণ্ড

এ বিষয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিতে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

তবে অভিবাসন সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলো জানায়, গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সৌদি গৃহকর্তার হাতে যৌন হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতনের মুখে দেশে ফিরছেন নারী শ্রমিকরা।

সূত্র: চ্যানেল ২৪

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles