5.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতার পরকীয়া মামলায় আরেক নেতার স্ত্রীর ২ বছরের সাজা

আওয়ামী লীগ নেতার পরকীয়া মামলায় আরেক নেতার স্ত্রীর ২ বছরের সাজা

স্বামী ও তিন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের হাত ধরে ঘর ছাড়েন ফারজানা রতন সোনিয়া। সঙ্গে নিয়ে যান বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের দায়ের করা মামলায় ২ বছরের সাজা হয়েছে সোনিয়ার।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সিএমএম কোর্ট-৭ এর বিচারক এই রায় প্রদান করেন। তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের সাজা দেয়া হয়। সোনিয়া বর্তমানে কানাডা প্রবাসে রয়েছেন। মামলার বাদীর আইনজীবী আরফানুল হক সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এর আগে সোনিয়া পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়ার এবং সেসময় মালামাল নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের ঘরনী সোনিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়া এবং পরে তাকে বিয়ে করার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত। সোনিয়াকে বিয়ে করার এক বছর পর মারা যান তৌফিক আহমেদ।

বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও স্বর্ণ গহনা নিয়ে সৈয়দ তৌফিক আহমেদের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর আবদুল হান্নান রতন ২০১৬ সালে ১৯শে মার্চ গুলশান থানায় সাবেক স্ত্রী ফারজানা রতন সোনিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ে ফারজানা রতন সোনিয়ার দুই বছরের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সাজার আদেশ দেন ঢাকা সিএমএম কোর্ট-৭ এর বিচারক। তবে সৈয়দ তৌফিক আহমেদ মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তিনি খালাস পান। স্বামী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে সৈয়দ তৌফিক আহমেদের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন সোনিয়া। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ রতন ও সোনিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ২৪ মে সোনিয়া তার পরকীয়া প্রেমিক তৌফিককে বিয়ে করেন। তবে ২০২১ সালের ২২শে মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তৌফিক আহমেদ।

মামলার বাদী আবদুল হান্নান রতন বলেন, ‘আসামিরা আমার সাজানো সংসার নষ্ট করেছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ ব্যাপারে জানতে মামলার আসামি ফারজানা রতন সোনিয়ার ফোন নম্বরে একাধিকবার কলা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সূত্র : নতুন সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles