1.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

নিরুদ্দেশ তরুণরা যোগ দেয় নতুন জঙ্গি সংগঠনে, যেভাবে ধরল র‌্যাব

নিরুদ্দেশ তরুণরা যোগ দেয় নতুন জঙ্গি সংগঠনে, যেভাবে ধরল র‌্যাব

জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে গড়ে উঠেছিল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয় (পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার) নামে নতুন জঙ্গি সংগঠন। যেখানে জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা রয়েছেন। ২০১৭ সালে জঙ্গি সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার দুইবছর পর এই নামকরণ করা হয়।

- Advertisement -

তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে নতুন এই সংগঠনে ভেড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। তাদের পরিকল্পনায় কতজন তরুণ উদ্বুদ্ধ হয়ে এই দলে ভিড়েছে সেই সম্পর্কে সু-নির্দিষ্ট তথ্য জানা না গেলেও ঘর ছাড়া তরুণদের ভোলার চরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া চারজনসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বাহিনীটি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

এরইমধ্যে বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করতে ঘর ছেড়েছেন অর্ধশতাধিক যুবক। যাদের মোটিভেশন, প্রশিক্ষণসহ স্বশস্ত্র সংগ্রামের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেএমবি, নব্য জেএমবি, হিজবুত তাহরীরসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন থেকে আসা নেতৃস্থানীয়রা।

বুধবার রাতে দেশের কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে হিজরতে বের হওয়া চারজনসহ সাতজনকে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ এসব তথ্য পেয়েছে বাহিনীটি।

বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কুমিল্লা থেকে ৮ তরুণ গত ২৩ আগস্ট নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। র‌্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এসময় র‌্যাব জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছাড়া চার তরুণকে হেফাজতে নিয়ে পরিবারের কাছে (৬ সেপ্টেম্বর) ফিরিয়ে দেয়। এরপর বাকিদের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়। বুধবার রাতে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ‘নিখোঁজ’ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- হোসাইন আহম্মদ, নেছার উদ্দিন উমায়ের, বণি আমিন, ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত, মো. হাসিবুল ইসলাম, রোমান শিকদার ও মো. সাবিত। তাদের কাছ থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠনটির তিন ধরনের প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির নির্দেশিকা সম্বলিত পুস্তিকা, সংগঠনের কর্মপদ্ধতি, জিহাদি ভিডিও জব্দ করা হয়।

কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ ৮ তরুণের মধ্যে শারতাজ ইসলাম নিলয় নামের তরুণ স্বেচ্ছায় গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কল্যাণপুরের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই র‌্যাব নতুন এই জঙ্গি সংগঠনটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।

যা জানা গেল:
কুমিল্লা টাউন হল এলাকা থেকে সংগঠনের নেতা সোহেলের নির্দেশনায় ঘরছাড়া যুবকরা দুই ভাগ হয়ে লাকসাম রেলক্রসিংয়ের কাছে হাউজিং স্টেট এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সেখান থেকে তাদের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি লাকসামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সোহেল নামে একজন নিলয়, নিহাল, সামি ও শিথিলকে কুমিল্লা শহরের একটি মাদ্রাসার মালিক নিয়ামত উল্লাহ’র কাছে পৌঁছে দেয়। তার তত্ত্বাবধানে একদিন থাকার পর সোহেল চারজনকে নিয়ে ঢাকায় আসে। এরমধ্যে নিহাল, সামি ও শিথিলকে অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নিলয়কে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চের টিকিট কেটে পাঠিয়ে দেয়।

পটুয়াখালীতে গ্রেপ্তার বনি আমিন যুবক নিলয়কে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। এরপর গ্রেপ্তার হুসাইন ও নেছার উমায়েরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। বণি আমিন তিনদিন নিলয়কে তার বাসায় রাখে। বাসায় অতিথি আসায় পরবর্তীতে নিলয়কে হুসাইনের মাদ্রাসায় রেখে আসে। সেখান থেকেই (মাদ্রাসা) নিলয় পালিয়ে ১ সেপ্টেম্বর কল্যাণপুরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে।

নিলয়ের দেওয়া তথ্যমতে, বনি আমিন, নেছার উদ্দিন উমায়েরকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে, হুসাইন আহমদ, রিফাত, হাসিব, রোমান শিকদার ও সাবিতকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার হাসিব ও রিফাত এক বছর আগে কুমিল্লার কোবা মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর কাছে সংগঠনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা পায়। হাবিবুল্লাহ তাদের উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ করে ফাহিম ওরফে হাঞ্জালার কাছে নিয়ে যায়। ফাহিম তাদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে মুসলমানদের উপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয়। এভাবে তাদেরকে সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে। গ্রেপ্তার রোমান স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য ৪০ দিন আগে নিরুদ্দেশ হয় এবং গ্রেপ্তার সাবিত দুইমাস আগে পটুয়াখালী থেকে নিখোঁজ হয়।

যেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো:
র‌্যাব জানিয়েছে, সোহেল নামের একব্যক্তির তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ তরুণদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পটুয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদেরকে বিভিন্ন সেফ হাউজে রেখে পটুয়াখালী এলাকার সিরাজ ওরফে রবি নামের ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে পটুয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন চর এলাকায় সশস্ত্র হামলা, বোমা তৈরি, শারীরিক কসরত ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘দেশের নিষিদ্ধ সংগঠন, বিশেষত জেএমবি, আনসার আল ইসলাম এবং হুজি-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কতিপয় নেতা ও কর্মীরা একত্রিত হয়ে এই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। গ্রেপ্তার হোসাইন সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহ ও তত্ত্বাবধান, তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সদস্যদের সশস্ত্র হামলার বিষয়ে প্রস্তুত করে তুলতেন। তিনি ২০১৪-১৫ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে সিরাজ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হন। এখন পর্যন্ত ১৫-২০ জন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’

কেন কী করতেন:
গ্রেপ্তার জঙ্গি হোসাইন আহম্মদ পটুয়াখালীর একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন থেকে কতিপয় সদস্যদের একীভূত করে ২০১৭ সালে এই নব্য জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে সংগঠনটি ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ (পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার) হিসেবে নামকরণ করেন।

গ্রেপ্তার নেছার উদ্দিন উমায়ের ভোলায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১৯ এর পূর্বে উগ্রবাদী কার্যক্রমে যুক্ত হন। হিজরত সদস্যদের প্রশিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও সংগঠনের সদস্যদের বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞাণ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সদস্যদের সশস্ত্র হামলার বিষয়ে প্রস্তুত করে তুলতেন। তিনি ৯-১০ জন সদস্যের তত্ত্বাবধান ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

গ্রেপ্তার বণি আমিন উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে পটুয়াখালীতে কম্পিউটার সেলস অ্যান্ড সার্ভিসের ব্যবসা করতেন। সেই মূলত সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া ও তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিল। ২০২০ সালে হোসাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বণি সংগঠনের ২২-২৫ জন সদস্যকে আশ্রয় ও তত্ত্বাবধানে জড়িত ছিল।

এদিকে গ্রেপ্তার আরেকজন রিফাত কুমিল্লাতে অর্থনীতি বিষয়ে স্মাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। গ্রেপ্তার হাসিব উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে অধ্যয়ণরত এবং একটি অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা হাবিবুল্লাহ’র মাধ্যমে জঙ্গিবাদে দীক্ষিত হতে গত ২৩ আগস্ট বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়।

গ্রেপ্তার রোমান প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা করে গোপালগঞ্জে ইলেকট্রিক্যাল ও স্যানিটারি বিষয়ক কাজ করত। অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগঠনটি সম্পর্কে ধারণা পায়। পরবর্তীতে সে প্রায় এক মাস পূর্বে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

আর গ্রেপ্তার সাবিত উত্তরা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে একটি ছাপাখানায় স্টোর কিপারের কাজ করতো। তার একজন আত্মীয় ও অনলাইনে ভিডিও দেখার মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়। জুন মাসে ঢাকায় সিরাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর প্রায় দুই মাস পূর্বে নিখোঁজ হয়।

যা বলছে র‌্যাব:
নিখোঁজ হওয়া তরুণদের সম্পর্কে পরিবারদের তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘নতুন জঙ্গিরা কাটআউট পদ্ধতিতে কাজ করছিল। অনেক সদস্য এখনো ধরা পড়েনি। হয়ত কেউ কেউ পরিবারে ফিরেও যেতে পারে। এতে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আর ভবিষ্যতে জঙ্গি হামলা হবে না, এমনটা আমরা কখনও বলিনি। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান আছে। হিন্দুদের বড় উৎসব গেল, তেমন কিছু ঘটেনি। এই নতুন মঞ্চের (সংগঠনের) দক্ষিণাঞ্চলের নেতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি। এখন পর্যন্ত কতজন সদস্য সক্রিয় সে সম্পর্কে শক্ত কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি।’

‘স্টেপ টু স্টেপ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি স্তর পার হবার পর পরের স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘড় ছাড়া তরুণদের মূলত- সুপ্তচিন্তাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে জঙ্গিবাদে। স্বশস্ত্র সংগ্রামের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে চরাঞ্চলে। তাদের আরও নতুন নতুন প্রশিক্ষণের পরই ওপরের ধাপে উত্তীর্ণ করার প্রক্রিয়া চলছিল।’

কাদের উপর হামলা চালানোর জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ বা মোটিভেট করা হচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ তরুণদের মোটিভেট করা হচ্ছিল। হিজরত করা তরুণদের আইসোলেশনে রেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধের জন্য ক্রোধ-ক্ষোভকে কাজে লাগানোই ছিল প্রথম কৌশল। আমরা এই নতুন সংগঠনের মধ্যম সারির বেশ কয়েকজনের নাম পেয়েছি। তারা বিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন থেকে এখানে এসে নেতৃত্বে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই সংগঠন নিষিদ্ধ নয়, অন্য সংগঠনের চেয়ে এটা শক্তিশালী। তারাই মূলত, মানিয়ে চলার জন্য পেশাদারি ও কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’

জেএমবি ও আনসার আল ইসলামের মতপার্থ্যক্য রয়েছে। নতুন এই মঞ্চ পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার কেন বলছে? জানতে চাইলে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এই সংগঠনে যদি তরুণরা যুক্ত হয় তাহলে তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে। বণি আমিন, হোসাইন ও নেছাররা আনসাল আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ ছিল। কিন্তু আনসার আল ইসলাম নিষিদ্ধ হওয়ায় জঙ্গিবাদের প্রচার-প্রচারণার জন্য নতুন মঞ্চের যোগ দিয়ে নেতৃত্বে যায়। আদালত প্রাঙ্গনসহ অন্যান্য স্থানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন এসেছে। তাদের কার্যক্রমের বড় অংশটি চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় চলছে বলে জানান তিনি।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles