8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

প্রতারণা করে ভোটার হতে গিয়ে ধরা খেল ১২ কিশোরী

প্রতারণা করে ভোটার হতে গিয়ে ধরা খেল ১২ কিশোরী

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৫ নম্বর শানখলা ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম। আর এ কার্যক্রমের সুযোগে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে প্রতারণা করে ভোটার হতে গিয়ে ধরা খেল ১২ কিশোরী।

- Advertisement -

বিষয়টি আচ করতে পেরে ওই কিশোরীদের আটক করে স্থানীয় লোকজনসহ ইউপি পরিষদের সদস্যরা। ১২ জনকে আটক করলেও কৌশলে পালিয়ে যায় আরো অন্তত ২৫ জন। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদেরকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

যদিও স্থানীয় লোকজনদের ধারণা, ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কোনো সদস্য এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তাদের মাধ্যমেই তারা প্রতারণা করে ভুয়া জন্মনিবন্ধনসহ কাগজপত্র তৈরি করে শানখলা ইউনিয়ন পরিষদে এসে ভোটার হওয়ার পন্থা অবলম্বন করে।

জানা যায়, ৩০ আগস্ট থেকে চুনারুঘাট উপজেলার শুরু হয় ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম। এরই প্রেক্ষিতে শানখলা ইউপিতে গত কয়েকদিন যাবত এ কার্যক্রম শুরু হয়। বুধবার বিকেলে অন্যান্য দিনের মতো নতুন ভোটার হতে ফরমে ঠিকানা, জন্মনিবন্ধন নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর আঙ্গুলের ছাপ দিচ্ছিলেন অনেকে। এ সময় নতুন ভোটার হওয়ার ফরমে ঠিকানা, জন্মনিবন্ধন নম্বরের তথ্য অপূরণ রাখাসহ নানা অসংগতি থাকায় একে একে ১২ কিশোরীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের তথ্যাদি যাচাই বাচাই করে দেখা যায় তারা হবিগঞ্জ, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আটকরা হলেন মোছা. নার্গিস আক্তার, শার্মিন আক্তার, রিতা বেগম, ছামিয়া, মাহিদা আক্তার, বৃষ্টি, যত্ন আক্তার, মোছা. মান্না আক্তার, আকলিমা, ফারজিনা আক্তার, আয়েশা আক্তার ও মোছা. রিমা আক্তার।

শানখলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, একটি চক্র কৌশলে প্রতারণা করে আমার ইউনিয়নে ভুয়া জন্মনিবন্ধনসহ কাগজপত্র তৈরি করে ওই কিশোরীদের ভোটার বানাতে চেয়েছিল। আমরা তাদেরকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছি।

চুনারুঘাট থানার (ওসি) আলী আশরাফ জানান, ১২ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার দীপক কুমার রায় জানান, এভাবে প্রতারণা করে ভোটার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা এমন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। আমাদের কোন লোক এতে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles