15.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

স্ত্রীর সহযোগিতায় ধর্ষণ, সেই ছবি দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ফের ধর্ষণ!

স্ত্রীর সহযোগিতায় ধর্ষণ, সেই ছবি দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ফের ধর্ষণ!

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দোবাড়িয়া এলাকায় স্ত্রীর সহযোগিতায় প্রতিবেশীর কিশোরী মেয়েকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার(৫০) নামের এক ব্যক্তির নামে। ধর্ষণের সেই ছবি দেখিয়ে পরবর্তীতে খুলনার কোনো এক বাসায় নিয়ে তিনজন মিলে ওই কিশোরীকে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয় গেছে।

- Advertisement -

সর্বশেষ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ২০দিন পার হয়ে গেলেও কোনো আইনি সহায়তা পায়নি নির্যাতিতা বা তার পরিবার। উল্টো অভিযুক্তরা মামলা না করার জন্য তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

নির্যাতিতার দিনমজুর বাবা বলেন, দোবারিয়া গ্রামের মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সখী বেগম পেশাদার নারী পাচারকারী ও দেহ ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন আগে সখি বেগম আমার মেয়েকে তার ঘরে ডেকে নেয়। তখন মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। সখী বেগম সেই ছবি তুলে রাখে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে, মেয়েকে খুলনায় বড় মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু গত ১৩ আগস্ট বিকেলে বড় মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় সখি বেগম ও কালাম সরদার। দুই দিন পরে ১৫ আগস্ট সকালে রুপসা ভ্যানস্ট্যান্ডে অসুস্থ অবস্থায় আমার মেয়েকে ফেলে রেখে যায় তারা। মেয়ে সবকিছু খুলে বললে আমরা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করি। ১৭ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি মেয়েকে। এরপর র্যাব-৬ খুলনা, রুপসা থানা ও কচুয়া থানায় একাধিক বার গেলেও মেয়েকে নির্যাতনের কোনো বিচার পাইনি।

নির্যাততা কিশোরী জানায়, মহিউদ্দিন হাওলাদার তাকে ধর্ষণ করেছে এবং তার স্ত্রী সখি বেগম সেই ছবি তুলে রাখে। পরে আমাকে ভয় দেখিয়ে খুলনার একটি বাসায় নিয়ে রাতে মহিউদ্দিন হাওলাদার, বাসচালক কালাম সরদার ও ওই বাড়িতে থাকা আরও একজন ধর্ষন করে। তারা আমাকে জোর করে যৌন উত্তেজক ওষুধও খাইয়েছিল। আমি এর বিচার চাই।

দোবাড়িয়া এলাকার মো. সোলায়মান ফকির বলেন, কিশোরী মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

মো. রবিউল ফকির নামে এক ব্যক্তি বলেন, মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সখি বেগম পেশাদার নারী পাচারকারী ও দেহ ব্যবসায়ী- এটা এলাকার সবাই জানেন। এই অপরাধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সখি বেগমকে কয়েকবার মারধরও করেছেন।

ফাতেমা বেগম নামে এক নারী বলেন, সখি ও মহিউদ্দিনের বিচার না হলে, এলাকার অন্য মানুষও ভয়ে থাকবে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

স্থানীয় মিতা বেগম বলেন, সখি তার বাড়িতে খারাপ মেয়ে এনে দেহ ব্যবসা করান। এই কাজে তার স্বামী সব ধরনের সহযোগিতা করেন। এলাকার কেউ যদি তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাহলে তাদেরকে নানারকম হুমকি-ধামকি ও হয়রানি করেন এই দম্পতি।

ইলমা বেগম বলেন, সখি ও তার স্বামী খুবই খারাপ মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কালাম সরদার। আমরা এই কিশোরী মেয়েকে নির্যাতনকারীদের কঠোর বিচার চাই।

এদিকে ১৫ আগস্টের পরে পলাতক রয়েছেন মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সখি বেগম। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘর তালাবদ্ধ।

কথা হয় পাশের ঘরে থাকা মহিউদ্দিনের মা মোমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে খারাপ কাজ করে। এজন্য তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কোথায় গেছে আমি জানি না। ’

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। শোনার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

সূত্র : বাংলানিউজ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles