1.8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ডাকা হয় রক্ত দিতে, নারীর চক্রান্তে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

ডাকা হয় রক্ত দিতে, নারীর চক্রান্তে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটে আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভাইকে জরুরি রক্ত দেওয়ার কথা বলে এই দুই তরুণীকে ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার দুই দিন পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

- Advertisement -

আসামিরা হলেন সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫), সুজন (৩৫)।

এ কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তার ওরফে তানিয়াকে (২৫) আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরো পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট নগরে আসেন বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮)। নগরে তিনি এক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতেন। সে সুবাদে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারে গিয়ে তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের আরেক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তানিয়া উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় তার।

গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তরুণীর এবি পজিটিভ রক্ত হওয়ায় তানিয়ার ভাইয়ের জন্য ওই গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন বলে জানানো হয়। পরে তাকে পাঠানটুলা এলাকায় রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত আসতে বলেন তানিয়া। এ সময় ভুক্তভোগী ওই তরুণী তার রুমমেটকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের সামনে এলে তানিয়া কৌশলে তাদেরকে পাশের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। এ সময় তানিয়ার সহযোগী ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওই দুই তরুণীকে আটকে রেখে মাঝরাত পর্যন্ত ধর্ষণ করে। এরপর তাদের ফোন এবং টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যান তানিয়া।

এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় পৃথক দুটি মামালা করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ কালের কণ্ঠকে বলেন, গতকাল সোমবার ভুক্তভোগীদের চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সূত্র : কালেরকন্ঠ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles