0.6 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

৫ মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত, ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস

৫ মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত, ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস

ডলার সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম নিয়মিত কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় নানা অপরাধে ৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। এছাড়া, ৪২টি মানি এক্সচেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে।

কয়েক মাস ধরেই ডলারের বাজারে চলছে অস্থিরতা। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে বাংলাদেশে খোলা বাজারে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ডলারের বাজারে সংকট ঘণীভূত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোলা বাজার পরিদর্শন শুরু করে এই নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। পরে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে।

ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। এর পর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়।

এদিকে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। ৯ জানুয়ারিতে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকায়। গত ২৩ মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা হয়। গত ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি দাম ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা হয়। গত ১০ মে ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা হয়। গত ১৬ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২৩ মে ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়। আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু, তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় ডলারের এক রেট উঠিয়ে দিয়ে গত ২ জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ডলার দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। গত ৬ জুন প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। ডলারের দাম বেড়ে গত ৭ জুন ৯১.৯৫ টাকা, ৮ জুন ৯২ টাকা এবং গত ১৩ জুন ৯২.৫০ টাকা হয়। ১৫ জুন ডলারের দাম ছিল ৯২.৮০ টাকা। ২১ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯২.৯০ টাকা, পরের দিন তা বেড়ে ৯২.৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২৮ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯৩.৪৫ টাকা, ২৯ জুন ৯৩.৪৪ টাকা, ৩০ জুন ৯৩.৪৫ টাকা, ১৪ জুলাই ৯৩.৬১ টাকা, ১৭ জুলাই ৯৩.৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪.৪৫ টাকা। গত সোমবার আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ৯৪.৭০ টাকায়।

সূত্র : রাইসিংবিডি

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles