7.4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

সারাদেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান সায়েম সোবহান আনভীরের

সারাদেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান সায়েম সোবহান আনভীরের

দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সারাদেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, ‘আপনারা যে যেখানে পারেন একক বা যৌথভাবে ছোট ছোট শিল্প তৈরি করেন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি করেন।’

- Advertisement -

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা ২০২২-এর প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। বাজুস ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আজকে যারা ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় এসেছেন তাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। সব ব্যবসায়ীকে এক হতে হবে। কারণ মাথা যদি ঠিক না থাকে তাহলে সারাদেশে ঠিক থাকবে না। এজন্য আপনারা একজন আরেকজনকে সাহায্য সহযোগিতা করেন। আমি আমার পুরো কমিটিসহ বাংলাদেশ আপনাদের সাথে আছে। একজন আরেকজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযোগিতা করেন। সবাই এক হলে জাতীয় যে মূল্যের সমস্যার কথা বলছেন সেটা সমাধান করা যাবে না। এজন্য একজন আরেকজনকে উৎসাহী করেন। আমরা সবাই এক পরিবার আর পরিবারের দায়িত্ব হলো একজন আরেকজনকে দেখে রাখা।’
আমাদের অনেক দূর যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যে যেখানে পারেন একক বা যৌথভাবে ছোট ছোট শিল্প তৈরি করেন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি করেন। আমি চাই আপনারা দেশে জুয়েলারি শিল্প তৈরি করেন। দেশ-বিদেশে ঘুরেন। বিদেশে রপ্তানির চিন্তা করেন। শুধু জেলা ভিত্তিক থাকলে চলবে না দেশব্যাপী করতে হবে। এজন্য বড় চিন্তা করতে হবে। আর বড় চিন্তা করতে মেধার প্রয়োজন হয়। মেধার জন্য দেশ-বিদেশ ঘুরতে হবে। সেখান থেকে দেখে এসে দেশে শিল্প করেন। তিল তিল করে তাল হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে আছি।’

ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে ভ্যাট-ট্যাক্সের সুবিধা চাচ্ছেন সেটা গার্মেন্টস শিল্প পেয়ে থাকলে তার থেকে বেশি আপনারা পাবেন।’ বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই আশা আপনারা সবাই আগে বাজুসের সদস্য হন। সদস্য না হলে আগামীতে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে। বর্তমানে মেম্বারশিপ নিতে যে সহজ প্রক্রিয়া রয়েছে আগামীতে সেটা নাও থাকতে পারে। তাই যত দ্রুত পারেন মেম্বারশিপ নেন।’

বাজুসের সাবেক সভাপতি ও ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘সরকার স্বর্ণ নীতিমালা ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই নীতিমালা পরিপূর্ণ নয়। স্বর্ণ নীতিমালায় শুধু আমদানির ব্যবস্থা আছে কিন্তু রপ্তানি করা, শিল্প গঠন করাসহ আরো বেশ কিছু বিষয় আমরা নীতিমালায় পাইনি। ফলে যারা স্বর্ণের ডিলার রয়েছে তারা আনতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর দেশে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের দায়িত্ব নেয়ার পর ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আর বিদেশ নির্ভর থাকবে না। এই দেশেই শিল্প কারখানা স্থাপন করে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘একক বা যৌথভাবে এই কারখানা হবে। এতে যদি আইনগত বা আর্থিকভাবে সহায়তার প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থা করা হবে। ক্ষুদ্র, বড় ও মাঝারি আকারে শিল্প গড়ে তুলতে হবে। সে প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের স্বর্ণ শিল্পীদের দীর্ঘ দিনের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বর্ণ নীতিমালা ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই নীতিমালা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাজুসের সদস্য হতে হবে এবং এক সাথে কাজ করতে হবে। শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে সদস্য হতে পারবেন। এতে কোন ফি লাগবে না। ইতোমধ্যে ২০-২২ হাজার সদস্য হয়েছে। আশা করছি সকলকেই সদস্য করতে পারবো। কারণ সদস্য ছাড়া কেউ এ ব্যবসা করতে পারবে না। এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা কাজ করছি। যদি কোন ব্যবসায়ীকে প্রশাসন অযথা হয়রানি করে তাহলে বাজুস সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসা করতে হলে সবাইকে বাজুসের সদস্য হতে হবে। আর সদস্য হতে শুধু ট্রেড লাইসেন্স লাগে। আগামীতে কেউ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন না। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসককে চিঠি দেব। অনেকে অভিযোগ করেন প্রশাসন হয়রানি করে। এ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবসাযীদের স্বর্ণ কেনার সময় অবশ্যই বিক্রেতার জাতীয় পরিচয় পত্র নেয়ার পরামর্শ দেন। তাহলে পুলিশের হয়রানি কমে যাবে। এর ফলে নির্দ্বিধায় ব্যবসা করতে পারবেন। এছাড়া সনাতনি পদ্ধতিতে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করা অপরাধ। এটা নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে বন্ধ করতে হবে।’ এটা বাস্তবায়ন করলে সারাদেশে স্বর্ণের দামে এক রেট চালু করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles