কানাডায় পারিবারিক সহিংসতার শিকার ৪২ শতাংশ নারীই সহিংতা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। শিশুদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ৫১ শতাংশ। আর স্বামীর উপস্থিতির কারণে কোনো ধরনের সহায়তা চাননি ৪৩ শতাংশ নারী। কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে বলে এক সমীক্ষায় জানা গেছে।
সংকট-পরবর্তী সময়ে এ সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কমিউনিটি সংগগঠনগুলো, যা তাদের কাজের চাপ বাড়িয়ে দেবে। ইয়াং উইমেন ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়াইডব্লিউসিএ) নির্বাহী পরিচালক মেলানি থিভিয়ার্গ বলছিলেন, মহামারির কারণে প্রতিকূল পরিবেশে নারীদের ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। সম্মুখসারিতে কর্মরত নারীরা তো একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তবে স্বাস্থ্য সংকট শেষে স্বাভাবিকতা ফেরার পর পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন তিনি। থিভিয়ার্গ বলেন, সরকারের সহায়তা কর্মসূচি শেষ হবে। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুফল সবার কাছে নাও পৌঁছাতে পারে। এবং গত বছরের মতো এবারও মেট্রোপলিসগুলোতে সাশ্রয়ী আবাসনের সংকট দেখা দেবে। সংকটটা দীর্ঘও হবে। আমার মনে হয়, এর পরিণতির মাত্রা কেমন হবে এখনও আমরা তা পরিমাপ করতে পারছি না।
একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিগ্রুপমেন্ট দেস মেইসন্স পুর ফেমেস ভিক্টিমস অব কনজুগাল ভায়োলেন্সও। সংগঠনের রাজনৈতিক নথিপত্র নিয়ে কাজ করছেন লুইজ রেইনডো। তিনি বলেন, বাইরের বিশে^র সঙ্গে নারীদের যোগাযোগ আবার শুরু হলে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা বেড়ে যেতে পারে। মহামারির পুরো সময়জুড়ে স্ত্রীদের ওপর যেখানে স্বামীদের পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল, স্বাভাবিক কর্মকা- পুরোদমে শুরু হলে সেটা কেমন দাঁড়ায় তা দেখার বিষয়। কারণ, নারীরা পুরুষের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসতে অথবা দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটাতে চাইলে আমরা হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা দেখতে পাই।