9.2 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে যা করণীয়

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে যা করণীয় - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

দিন দিন বাড়ছে গরমের তাপ। বৈশাখের হাওয়ায় গরমের তীব্রতা বাড়ায় সবারই কাহিল অবস্থা। সামনে এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। অনেকে সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ঘেমেই যেন প্রতিদিন গোসল করছেন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এ সময় মাথা ব্যথা, বমিভাব, শরীরে অস্বস্তি, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি ও হিট স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এভাবে চলবে আরও কয়েকদিন। অসহ্য গরম থেকে নিস্তার নেই কারও। বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, এখনই বলা মুশকিল।
এমন অবস্থায় কোথাও বেরোনো তো দূরের কথা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ছাড়া বাড়ির ভেতরেও টেকা দায় হয়ে উঠেছে। এ অসহনীয় গরমে শরীর খারাপ হতেই পারে। তাই কীভাবে গরমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের আয়োজনে।

- Advertisement -

কোন উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে:

১. রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। পাশাপাশি ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ফুলে যেতে পারে।

২. বারবার হাঁপিয়ে যাওয়া, খুব বেশি ঘাম হওয়া, বমি হওয়া বা বারবার বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া, মাথা ধরা, রোদ থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হিট ফ্যাটিগের লক্ষণ।

৩. হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারেন বা মৃত্যুও হতে পারে।

যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে:

১. পারলে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে বাড়ির বাহিরে বের হবেন না। ঘরের ভেতরেই থেকে কাজ করুন। এ সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।

২. সারাদিন ধরে ঘন ঘন পানি খান। কোনোভাবেই শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না।

৩. হালকা সুতির পোশাক পরুন যাতে ঘাম হলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল ব্যবহার করতে পারেন।

৪. বাইরে বেরোলে রোদ চশমা, ছাতা অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না।

৫. সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনো কাজ না করাই ভালো। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগে সেরে ফেলুন।

আরও পড়ুন: গরমে সতেজ থাকতে গোসলের পানিতে যা মেশাবেন

৬. অনেকেই গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বে়ড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না। তার বদলে স্যালাইন, লেবুর পানি, বেলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

৮. খেয়াল রাখবেন সারা দিনের খাবারে যেন বেশি প্রোটিন থাকে। বাসি খাবার খাবেন না।

৯. শিশু বা পোষ্যদের বন্ধ গাড়িতে রেখে কোথাও যাবেন না। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়বে তারা। খুব বেশিক্ষণ বন্ধ গাড়িতে থাকলে গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

১০. অসুস্থ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১১. দিনে ২ থেকে ৩ বার ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন।

১২. ঘর ঠান্ডা রাখুন। যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বাড়িতে না থাকে, ভারী পরদা দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন। ফ্যানের তলায় ঠান্ডা পানির বাটিতে কয়েক টুকরো বরফ রেখে দিতে পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles