14.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে তরুণরা পিছিয়ে

ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে তরুণরা পিছিয়ে
অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা অ্যাডাম কাসাম

এ পর্যন্ত অন্টারিওতে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ৭৪ শতাংশ নাগরিক উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই পেয়েছেন। যদিও ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে মাত্র ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ। অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে এই বয়স শ্রেণির ৬৯ শতাংশ অন্টারিয়ান। অর্থাৎ ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক-তৃতীয়াংশ শিশুকে ভ্যাকসিনের বাইরে রেখেই সেপ্টেম্বরে প্রদেশের স্কুলগুলো খুলতে যাচ্ছে।

স্কুল খুলে দেওয়ার আগে স্কুলে কর্মরতদের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছে অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি শিশুরা শ্রেণিকক্ষে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করায় ইনডোরে মাস্ক পরিধানও বাধ্যতামূলক করার পক্ষে মত দিয়েছে সংগঠনটি।

- Advertisement -

অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. অ্যাডাম কাসাম বৃহস্পতিবার সিপি২৪কে বলেন, ১২ বছরের কম বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা বিশ্বাস করি স্কুল সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে, সব স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি শিক্ষাকর্মীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হোক।

১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন এখনও দেয়নি কানাডা। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলেও ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে তরুণরা।

ডা. কাসাম বলেন, আমরা যেহেতু ফলের দিকে যাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে যাচ্ছে তাই সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাটা জরুরি। কারণ, চূড়ান্ত বিচারে আমরা চাই স্বাস্থ্যসেবা খাতের সামর্থ্য ধরে রেখে রোগীদের সেবা দিতে।

অন্টারিও কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের ড. পিটার জুনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখার স্বার্থে মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিনধিগুলো মেনে চলার পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে ভাইরাস প্রবেশের দরজা হচ্ছে কমিউনিটি বিশেষ করে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুল কর্মীরা। যত বেশি সংখ্যায় অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুলকর্মীকে আমরা ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারবো ভাইরাসের প্রবেশ পথগুলো তত কমে আসবে।

কমিউনিটিতে আক্রান্তের সংখ্যা কত কম তার শিশুদের শ্রেণিকক্ষে রাখার বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান জুনি। সংখ্যাটি অবশ্যই ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ এর বেশি হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এটা অতোটা সহজ নয়। তবে আমাদের ইতিবাচক হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ভ্যাকসিন ছাড়া আমরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে যাবো। ভ্যাকসিন নিলে আমরা এখনকার চেয়ে অনেক ভালো করতে পারবো। সেটাকে অন্তত ভালো শুরুই বলতে হবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles