8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

‘অপমানের বদলা’ নিতে ৩০ বছর পর শিক্ষিকাকে খুন

‘অপমানের বদলা’ নিতে ৩০ বছর পর শিক্ষিকাকে খুন - the Bengali Times
<br >প্রতীকী ছবি

তখন ছাত্রের বয়স মাত্র সাত বছর। ভরা ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে তাকে শাসন করেছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু ছাত্রের দাবি, সেদিন তিনি নির্দোষ ছিলেন। এমনি এমনি তাকে শাস্তি দেন শিক্ষিকা। এ ভাবে কেটে গেছে ৩০ বছরের বেশি। কিন্তু অপমানের ‘জ্বালা’ ভোলেননি গুন্টার উভেন্টস। একদিন প্রাথমিক শিক্ষিকার বাড়িতে ঢুকে তাকে ১০১ বার ছুরির কোপ বসাননি তিনি। মৃত্যু হয় শিক্ষিকার। দু’বছর পর বৃহস্পতিবার আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেন বেলজিয়ামের গুন্টার। তার স্বীকারোক্তি শুনে কার্যত হতবাক আইনজীবীরাও।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, তদন্তকারীদের গুন্টার জানান, সে দিন ক্লাসে বিনা কারণে তাকে অপমান করেছিলেন তার শিক্ষিকা মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। তার পর ৩০ বছর কেটে গেলেও অপমানের জ্বালা মেটেনি। প্রতিশোধ নিতেই হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে অ্যান্টওয়ার্পে ওই শিক্ষিকার বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। তার পর ৫৯ বছর বয়সি শিক্ষিকাকে ক্ষতবিক্ষত করেন ছুরির আঘাতে।

- Advertisement -

বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষিকার শরীরে মোট ১০১ বার ছুরির কোপ বসান হত্যাকারী। কিন্তু তদন্তে নেমে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। শিক্ষিকার পাশেই পড়েছিল তার মানিব্যাগ। সেখানে নগদ টাকা ছিল। বাড়ির আসবাবপত্রও ছিল যথাস্থানেই। তা হলে খুনের কারণ কী?

ঘটনার ১৬ মাস পর ২০২০ সালের নভেম্বর এক বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন গুন্টার। সেই বন্ধুই পুলিশকে জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তারা। বৃহস্পতিবার আদালত খুনের দায়ে গুন্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles