8.1 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো!

বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো!
ছবিকানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি

কানাডায় করোনা পরিস্হিতির এত উন্নতি হবার পরও আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে কানাডার সাথে বর্ডার আরো একমাস অর্থাৎ আগামী ২১শে অগাষ্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

আর কানাডা ঘোষণা দিয়েছে আগামী ৯ই আগষ্ট থেকে শুধুমাত্র যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য বর্ডার খুলে দেয়া হবে।

- Advertisement -

উল্লেখ্য কানাডা আমেরিকার দীর্ঘ বর্ডার বিগত এক বছর যাবত বন্ধ রয়েছে এবং কানাডায় ৬০/৬৫ ভাগ মানুষ ইতিমধ্যেই দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। ৮০ ভাগ মানুষ কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ভারতের বর্ডার কঠোর ভাবে বন্ধ না করে, ভারত সহ যে কোন দেশ থেকে করোনার নুতন রোগী আসা বন্ধ না করে, দ্রুত গণটিকার ব্যবস্হা না করে, কোথাও খোলা কোথাও বন্ধ নীতি পরিহার না করে, কঠোর বা কঠোরতম লক ডাউন যাই বলি বা করি না কেন, সবই হবে পন্ডশ্রম বা বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো!

দুদিন আগে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন চ্যানেল আইয়ের একটি আলোচনায় বলেছিলেন, দেশের গরীব মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে সরকারী টাকা পাঠানো হয় সেগুলোর অনেক মোবাইলই ভুয়া অর্থাৎ সেসব মোবাইল নাম্বারে প্রকৃত দু:স্হ ব্যক্তির কাছে সরকারী টাকা পৌঁছে না। অন্যেরা খেয়ে ফেলে বা হাতিয়ে নেয়। এইসব দুর্নীতি বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু কোন উদ্যোগ নেই। দেশের দরিদ্র মানুষের তুলনায় সরকারী সাহায্য অপ্রতুল হলেও যতটুকু পাঠানো হয় সেটাও যদি সঠিকভাবে পৌঁছানো না যায়, তাহলে যত কঠোর লকডাউনই করা হোক, মানুষকে ঘরে আটকে রাখা কি সম্ভব হবে?

গরীব মানুষগুলোর জন্যে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘরগুলো নিয়ে কি পরিমান দুর্নীতি হয়েছে তার সচিত্র প্রতিবেদন আমরা কদিন আগে দেখলাম। এসব বন্ধ করার জন্য ভবিষ্যতে কি উপায় বের করা যায় এবং যারা দায়ী তাদেরকে কিভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় সেটা নিয়ে যদি সরকারী দলের সাধারন সম্পাদক বা মুখপাত্ররা সময় ব্যয় করতেন তাহলে দেশের মানুষ স্বস্তি পেত।

যখনই দেশে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তখন বুঝতে হয় যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসলে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles