2.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

কানাডায় মহামারির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা বেড়েছে

কানাডায় মহামারির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা বেড়েছে
স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা বাড়ছে

স্বাস্থ্য খাতে কর্মী সংকট দূর করতে গত বছরের ডিসেম্বরে ফেডারেল সরকার ২ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের তহবিল ঘোষণা করে। নতুন করে ৪ হাজার ব্যক্তিগত সহায়তাকারীকে প্রশিক্ষণে এই তহবিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া অন্টারিওসহ বেশ কিছু প্রদেশ ঝুঁকির মধ্যে কাজ করা সম্মুখসারীর স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘণ্টাপ্রতি বেতনও বাড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের চাহিদা বাড়লেও কানাডায় এ ধরনের পেশায় শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সাম্প্রতিক উপাত্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য বলছে, ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে স্বাস্থ্যকর্মী ও সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের শূন্যপদ বৃদ্ধি পায় ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ বা ৩৬ হাজার ৪০০টি। এর ফলে এসব পদ শূন্য পড়ে আছে রেকর্ড ১ লাখ ৩০০টি।

একে আশ্চর্যজনক বলছেন র‌্যানস্ট্যাড কানাডার প্রেসিডেন্ট ক্যারোলাইন লেভি। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগেও কানাডার স্বাস্থ্যখাতে চাহিদার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম ছিল। মহামারির মধ্যে সম্মুখসারীর স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজে অনাগ্রহের বিষয়টি বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেকেই নিবন্ধিত নার্সের পেশা বেছে নিয়ে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলে দিতে চান না।

- Advertisement -

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার উপাত্ত অনুযায়ী, গত বছর শেষে সবচেয়ে বেশি পদ খালি ছিল হাসপাতালগুলোতে, যার সংখ্যা ১৫ হাজার ৭০০। এরপর সবচেয়ে বেশি পদ খালি ছিল নার্সের ১০ হাজার ৮০০টি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে শূণ্যপদের সংখ্যা ৯ হাজার ৬০০টি বেড়েছে।

সর্বশেষ কানাডিয়ান সার্ভে অন বিজনেস কন্ডিশনসের তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্যকর্মী ও সামাজিক সহায়তাকারী পদে কর্মী সঙ্কট মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্য যেকোনো খাতের চেয়ে অনেক বেশি। অন্য সব খাতে কর্মী সঙ্কট গড়ে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ হলেও স্বাস্থ্যকর্মী ও সামাজিক সহায়তা খাতের এ হার ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

এর পেছনে একাধিক কারণ আছে বলে জানান কানাডিয়ান নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (সিএনএ) প্রেসিডেন্ট টিম গেস্ট। তিনি বলেন, গ্রামীণ ও প্রান্তি অঞ্চলে নার্স নিয়োগ দিতে গিয়ে আমাদের যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। কিছু বিশেষ এলাকায় নার্স নিয়োগ দেওয়াটাও চ্যালেঞ্জিং ছিল।

২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিক পর্যন্ত যে শূন্যপদ বেড়েছে তার ৮০ শতাংশই হয়েছে কুইবেক ও অন্টারিওতে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles