9.5 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

টরন্টোর আবাসন পরিকল্পনাকে শুভ উদ্যোগ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

টরন্টোর আবাসন পরিকল্পনাকে শুভ উদ্যোগ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
রেন্টালসডটসিএ তাদের সাম্প্রতিক ন্যাশনাল রেন্টাল রিপোর্টে জানিয়েছে নভেম্বরে কানাডার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল শহর ছিল টরন্টো

সম্প্রতি অনুমোদিত টরন্টোর আবাসন পরিকল্পনাকে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু নগরীতে বাড়ি ভাড়া আরও সাশ্রয়ী হতে বেশ কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে জানান তারা।

কেবল সিঙ্গেল-ফ্যামিলি হোম নির্মাণের সুযোগ রয়েছে এমন নেবারহুডে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জোনিং বাইলতে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে মেয়র জন টরির প্রস্তাব গত বুধবার টরন্টো সিটি কাউন্সিলের ভোটে পাস হয়। সেই সঙ্গে নগরজুড়ে আবিসক বাড়িকেও বৈধতা দেওয়া হয়েছে আইনে। কীভাবে বাড়ি নির্মিত হবে সে সংক্রান্ত পরিকল্পনা নির্বাহী কমিটিতে দাখিলের জন্য মার্চ পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন সিটি ব্যবস্থাপক।

- Advertisement -

নগরীতে মাসিক গড় বাড়ি ভাড়া অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেন্টালসডটসিএ তাদের সাম্প্রতিক ন্যাশনাল রেন্টাল রিপোর্টে জানিয়েছে, নভেম্বরে কানাডার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল শহর ছিল টরন্টো। টরন্টোতে নভেম্বরে এক শয়নকক্ষের বাড়ির মাসিক ভাড়া ছিল ২ হাজার ৫৩২ ডলার এবং দু¦ি শয়নকক্ষের ৩ হাজার ৩৪৭ ডলার।

একজন আরবান স্ট্র্যাটেজির প্ল্যানার বলেন, নগরীর বিদ্যমান অনেক বাড়িকে দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থী ও একা থাকা ব্যক্তিদের জন্য আবাসিক ভবনে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এর ফলে অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা হ্রাস পাবে। কিন্তু এজন্য এক দশক বা তার বেশি সময় লেগে যেতে পারে। অবশ্যই এটা রাতারাতি হচ্ছে না। খুব শিগগিরই আমি জেগে উঠি বলতে পারবো না যে, সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি। সাশ্রয়ী আবাসনের যে সমস্যা তা আমরা সমাধান করে ফেলেছি। আমরা এখন সংকটের মধ্যে আছি। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে খারাপের দিকে গেছে। আমি পরিস্থিতির উন্নতি দেখতে চাই। কিন্তু সেজন্য সময় লাগবে।

সাশ্রয়ী আবাসন সমস্যা সমাধানে বাড়ির সরবরাহ বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, নগরীর অধিকাংশ বাসিন্দার জন্য নতুন আবসিক ইউনিটকেও সাশ্রয়ী করতে হবে। এমন আবাসন হতে হবে যা সংখ্যাগরিষ্ঠ কানাডিয়ান বা সংখ্যাগরিষ্ঠ টরন্টোবাসীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগের দিক থেকে আমাদের ভালো উদ্যোগ থাকতে হবে, যাতে করে নির্মিত বাড়ি সিংহভাগ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে।

This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles